পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by কামিনী রায় ১৮৯৪ সালে ষ্ট্যটুটারী সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের সহিত কামিনীর বিবাহ হয় । ইনি বহুপূৰ্ব্ব হইতেই কামিনীর গুণের পক্ষপাতী ছিলেন । ‘আলো ও ছায়া’ প্রকাশিত হইবার পর ইংরাজীতে তাহার এক বিস্তৃত সমালোচন প্রকাশ করেন। বিবাহের পর কামিনীর কেবল একখানি পুস্তক গুঞ্জন’ বাহির হইয়াছে। কবিতা লেখা ছাড়িয়া দিয়াছেন বলিয়া, তাহার কোন বন্ধু অনুযোগ করাতে, কামিনী র্তাহার সন্তানগুলিকে দেখাইয়। বলিয়ছিলেন, “এইগুলিই আমার জীবস্ত কবিতা ।” স্বামিসেবা, গৃহকৰ্ম্ম ও সস্তানপালনই তাহার নিকট পত্নী ও জননীর প্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে হয় এবং তাহাতেই তাহার সমুদয় অবসর গু শক্তি নিযুক্ত রহিয়াছে।” কামিনী রায়ের সুখের সংসারে সহসা শোকের গভীর ছায়া পড়িল । ১৯০৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি স্বামীকে হারাইলেন । ইহার চারি বৎসর পরে র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র অশোকের ও মৃত্যু হয় । আঘাতের পর আঘাতে তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া গিয়াছে । কিন্তু এত শোক-দুঃখের মধ্যেও তিনি সাহিত্য-সেবা হইতে বিরত হন নাই । শেষ জীবনে তিনি জনহিতকর কার্য্যে—বিশেষ করিয়! নারীকল্যাণ-কার্য্যে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন । ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ ( ১১ আশ্বিন ১৩৪০ ) তারিখে তিনি পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাহার বয়স ৬৯ বৎসর হইয়াছিল । সাহিত্য-সেবা কামিনী সেন আট বৎসর বয়স হইতেই কবিতা লিখিতে আরম্ভ করেন । তাছার "মুখ” নামে সুপরিচিত কবিতাটি এনট্রান্স পরীক্ষা