পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-সেবা స দিবার ছয় মাস পূৰ্ব্বে ১৮৮০ খ্ৰীষ্টাব্দের জুন মাসে রচিত হয়। পর-বংসর র্তাহার পিতা মেদিনীপুরে বদলি হন । এই সময়ে স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্র ‘মেদিনী’তেই বোধ হয় তাহার রচনা সৰ্ব্বপ্রথম প্রকাশিত হয় । তিনি লিখিয়াছেন – “মেদিনী’ নামে মেদিনীপুরে একখানি সাপ্তাহিক কাগজ ছিল । পিতা তাহার জন্য আমাকে কবিতা দিতে অনুরোধ করেন । তদনুসারে “প্রার্থনা” ও “উদাসিনী” শীর্ষক দুইটি কবিতা দিয়াছিলাম, ইহাদের একটিও ‘আলো ও ছায়া’য় স্থান পায় নাই . ‘আলোচনা’ নামক মাসিক পত্রিকায় প্রসন্নময়ী দেবীর লিখিত “কেন মালা গাথি—কুমারীর চিন্তা” শীর্ষক কবিতা পড়িয়া আসিয় পরদিন “সঞ্জীবনীমালা” লিখি ! প্রসন্নময়ী প্রবীণ! বিবাহিতা–কুমারীর চিস্তা লিখিলেন, আমি কুমারী হইয়া প্রবীণার মত তাহার উত্তর দিলাম । এ এক তামাস !”} ( ‘বঙ্গের মহিলা কবি, পৃ. ৮১ ) } ১৮৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে কামিনী সেনের অালো ও ছায়? প্রকাশিত হয় । পুস্তকে রচয়িত্ৰী-হিসাবে তাহার নাম ছিল না । তিনি বলিয়াছেন, “প্রথম জীবনে, কেবল প্রতিকূল সমালোচনা বা উপেক্ষার ভয়ে নহে, এক দারুণ লজ্জাবশতঃই আপনার নিভৃত চিন্তাগুলি অবগুণ্ঠন-মুক্ত করিয়া সকলের সম্মুখে উপস্থিত করিতে পারিতাম না। সেই লজ্জা ও ভীরুতা দূর করিবার জন্ত আমার নাম, ধাম ও নারীত্ব গোপন রাখিয়া,

  • নীহারিকা-রচয়িত্রীর ( প্রসন্নময়ীর ) রচনাটি ১২৯২ সালের বৈশাখ-সংখ্যা (ইং ১৮৮৫ ) আলোচনা’য় প্রকাশিত হয় । উত্তরে কামিনী সেন পরবত্তী ভাদ্র-সংখ্যা ‘আলোচনায় “জনৈক বঙ্গ মহিলা” এই নামে “কোন প্রাণে গপি মাল জার ? (সন্ন্যাসিনীর উক্তি )" লিখিয়াছিলেন ; ইহাই “সঞ্জীবনী মালা” নামে 'আলো ও ছায়া'র

মুতি আছে ;