পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামিনী রায় بني " হাজারিবাগ ২রা মার্চ, ১৯১৮ মান্যবরেষু— . আপনি কবিবর হেমচন্দ্রের জীবন-চরিত লিখিবেন জানিয়া সুখী হইলাম। কিন্তু আমি তাহার জীবনের কথা কিছুই জানি না । বাল্যকাল হইতে র্তাহার কবিতার ভিতর দিয়াই তাহার সঙ্গে আমার পরিচয় । তিনি আমার পিতৃদেবের বন্ধু ছিলেন ঠিক এ কথাও বল। যায় না । আমার পিতৃদেবের পাঠ্যাবস্থায় তিনি হেমবাবুর নিকট হইতে কিছু কিছু অর্থ-সাহায্য পাইয়াছেন এই কথা শুনিয়াছি । আমি জীবনে একদিন মাত্র তাহার সাক্ষাংলাভ করিয়াছি । তখন আলো ও ছায়া' যন্ত্রস্থ। আমার পিতৃবন্ধু স্বৰ্গীয় দুর্গামোহন দাস মহাশয় ইতিপূৰ্ব্বে আমার কবিতার খাতাগুলি লইয়া তাহাকে দেখিতে দেন এবং তঁহার মতামত জিজ্ঞাসা করেন । আমি অবশ্য ইহার বিন্দুবিসর্গও জানিতাম না । খাতাগুলি আমি ভাক্তার পি. কে. রায়কেই দেখিতে দিয়াছিলাম — কবিবর কতগুলি কবিতার উপরে ‘সুন্দর’ Beautiful ইত্যাদি এবং খাতার উপরে A true poet লিখিয়া দুর্গামোহন বাবুর হাতে ফিরাইয়৷ দিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন “এ ছেলেটি কে হে ?” ছৰ্গামোহন বাৰু বলিলেন “ছেলে নয় মেয়ে ।” তিনি অতিশয় আনন্দ এবং বিস্ময় প্রকাশ করিতে লাগিলেন । আমার কবিতা তাহার মত লোকের ভাল লাগিয়াছে জানিয়া আমার ভয় ও সঙ্কোচ কিয়ৎ পরিমাণে দূর হইল। তিনি ভূমিকা লিখিয়া দিবেন জানিয়া কবিতাগুলি পুস্তকাকারে ছাপাইতেও আর দ্বিধা রহিল না । যখন কয়েক ফৰ্ম্ম ছাপা হইয়াছে, একদিন সকাল বেল মিসেস পি. কে. রায় ( vদুর্গামোহন দাসের জ্যেষ্ঠ কন্যা ) আমার জন্ত গাড়ী পাঠাইয়া