পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রাবলী > 雪 দিলেন । তাহার পত্রে জানিলাম আমার সহিত পরিচিত इहेड ইচ্ছা প্রকাশ করাতে কবিবরকে তাহারা আহারের নিমন্ত্ৰণ করিয়াছেন । আমি কলেজের কাজ হইতে ছুটি লইয় তাহাদের রতন ষ্ট্রীটস্থ ভবনে আসিলাম । সেখানে হেমচন্দ্রের সহিত উমাকালী মুখোপাধ্যায় ও যোগেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের আসিয়ছিলেন । কবি র্তাহার নব-রচিত গঙ্গা-স্তোত্রটি সঙ্গে লইয়া আসিয়াছিলেন । আহারের পর উমাকালী বাৰু র্তাহাকে তাহার নিজের কোন কবিতা আবৃত্তি করিতে বলিলেন । তিনি কবিতাবলী হইতে “হায় বসুন্ধরা তোমার কপালে” ইত্যাদি কয়েক ছত্র পড়িয়া বলিলেন, “না, মিস সেনের কবিতা হইতে পড়ি ।” তখন খুব ভাবের সহিত বর্ষ-সঙ্গীত পড়িয়! শুনাইলেন । এই দেখাসাক্ষাতের পর তিনি আমাকে কক্ষ্মে কথানি পত্র লিখিয়াছিলেন । আমার দুর্ভাগ্যক্রমে সে স্নেহপূর্ণ চিঠিগুলি সব নষ্ট হইয়। গিয়াছে । তিনি আমার চিঠি পড়িয়া আমার কবিতার মত আমার গদ্যরচনারও খুব প্রশংসা করিয়াছিলেন । আসল কথা তিনি দোষ খুজিতেন না, গুণ খুজিতেন ; সৌন্দৰ্য্য দেখিবার চেষ্টা থাকিলে সৰ্ব্বত্রই {#२{ी झाँग्रे । র্তাহার প্রথম লিখিত ভূমিকাতে আমার নারীত্বের উল্লেখ ছিল বলিয়। উহাতে আমার আপত্তি হয় । তিনি সেই জন্য দ্বিতীয় বার ভূমিকা লিথিয় দিলেন। উহাই “আলো ও ছায়া’র দিকে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল, আমার এই বিশ্বাস । তিনি অত্যন্ত ঔৎসুক্যের সহিত ‘আলো ও ছায়া’র সমালোচনাগুলির জন্য প্রতীক্ষা করিয়া থাকিতেন এবং কোন কাগজে সমালোচনা বাহির হইলে সে সম্বন্ধে তাহার নিজের মত আমাকে জানাইতেন । কয়েক মাস পরে হঠাৎ তিনি চিঠি লেখা কেন বন্ধ করিলেন জানি না । একবার উত্তর না পাওয়াতে আমিও আর লিখিতে সাহস পাই নাই ।