পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া জীবিতকালে “আমার অতীত জীবন* নাম দিয়া আত্মচরিত প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন ( ‘উত্তর, ২য় বর্ষ, কান্তিকঅগ্রহায়ণ ১৩৩৩ দ্রষ্টব্য )। তাহার জীবনী রচনায় ইহাই আমাদের প্রধান উপজীব্য । বংশ-পরিচয় ; বাল্য-জীবন তিনি বাল্য-জীবনের কথা যাহা লিথিয়া গিয়াছেন, তাহার কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিতেছি। স্মৃতিকথায় সাল-তারিখের এক-আধটু গগুগোল থাকা স্বাভাবিক। মানকুমারীর ক্ষেত্রেও তাহার ব্যতিক্রম হয় নাই । তাহার মৃত্যুর পর তদীয় জামাতা—খুলনার উকীল শ্ৰীচারুচন্দ্র নাগ দেখাইয়া দিয়াছেন যে, তাহার জন্ম-তারিখ প্রকৃতপক্ষে ১৩ মাঘ ১২৬৯ ( ২৫ জানুয়ারি ১৮৬৩ ),—১৩ মাঘ ১২ ৭১ নহে :– • “যাহারা মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর জীবন-কাহিনী পড়িয়াছেন, তাহারা উক্ত কবিবরের জ্যেষ্ঠতাত ৮রাধামোহন দত্ত চৌধুরীর কথা অবগু মনে রাখিয়াছেন ; কারণ, তিনিই সাগরদাড়ির দত্ত-বংশের সৌভাগ্য-প্রতিষ্ঠাকারী । তিনিই আমার পিতামহদেব । তাহার প্রথম পত্নী বালিকা বয়সে গতাস্থ হইলে, দ্বিতীয় বার যে পত্নী গ্রহণ করেন, সেই পত্নীর গর্ভে একমাত্র পুত্র আমার পিতৃদেব yআনন্দমোহন দত্তচৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন । আমাদের যশোহর জেলার শ্ৰীধরপুর গ্রামের জমিদার /বনমালী বসু আমার মাতামহ দেব । আমার জননী শ্ৰীযুক্তেশ্বরী শাস্তমণি দেবী তাহার আটটি সন্তানের মধ্যে সৰ্ব্বকনিষ্ঠ । অতি কাল্যকালে (তখনকার প্রথামত ) আমার মাতাপিত বিবাহিত