পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& মানকুমারী বসু হন। বিবাহকালে পিতৃদেবের বয়স এগার, মাতৃদেবীর বয়স পাচ বৎসর। আমার মাতার চারিটি মাত্র সস্তান হয়।. চতুর্থ আমি— মানকুমারী সৰ্ব্বকনিষ্ঠ।.১২৭১ সালে ১৩ই মাঘ রাত্রিকালে, মাতুলালয় শ্ৰীধরপুরে এ অভাগিনীর জন্ম হয় ।--শিশুকালে আমাকে “অভিমানিনী” বুঝিয়াই নাকি আমার নামকরণ হইয়াছিল ।...আমি অতি বাল্যকাল হইতে আমার মাতা-পিতাকে সাংখ্যের পুরুষ-প্রকৃতি অথবা পুরাণের শিবশক্তির মতই দেখিতে পাইয়াছিলাম। বাবা পুস্তক-পাঠ, পণ্ডিতদিগের সহিত শাস্ত্রালোচনা, শিবপূজা, পুরমহিলাদিগের নিকটে পুরাণ পাঠ, বালিকাদিগকে সমুপদেশ দান এবং শিশুদিগের সহিত ক্রীড়া এই সব করিতেন । আর মা কাৰ্য্যকারকদিগকে উপলক্ষ্য করিয়া বিষয়সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, পুত্রের উন্নতিচেষ্টা, সাংসারিক শ্ৰীবৃদ্ধিসাধন, গৃহকৰ্ম্মে অসাধারণ নৈপুণ্য, এই সব করিতেন।. অামি বাবার কাছে, আমার দ্বিতীয় ভ্রাতার পত্নীর কাছে এবং আমার এক দিদির কাছে প্রথম ভাগ পড়িতে লাগিলাম । ঔ-কার বানান শেষ হইলেই দ্বিতীয় ভাগ ধরিলাম। দ্বিতীয় ভাগের যুক্তাক্ষর শীঘ্ৰ মুখস্থ হইবে বলিয়া বাবা আমার সহিত সৰ্ব্বদা বানান করিয়া কথা কহিতেন। যুক্তাক্ষর পড়া শেষ হইলে আমাদের বাহির বাড়ীতে বালিকা-বিদ্যালয় হইতে লাগিল । আমি দ্বিতীয় ভাগ পরিত্যাগ করিয়া কথামালা লইয়া পড়িতে স্কুলে চলিলাম ...বিদ্যালয়ে যাইবার সময়ে বাবার আদেশমত ভগবানের চরণে প্রণাম ও প্রার্থনা করিয়াছিলাম । তাহারই কৃপায় পাঠ আমি খুব শীঘ্র শিখিতে লাগিলাম ; কিন্তু হাতের লেখার বিষয়ে কিছুমাত্র মনোযোগ করিতাম না।...এই সময়ে আমি ঘরে বসিয়া বাবার পুস্তক সকল অর্থাৎ কাশীরাম দাসের মহাভারত, কৃত্তিবাসের রামায়ণ, কাশীখণ্ড, হর-পাৰ্ব্বতী-মঙ্গল প্রভৃতি পড়িতাম আর