পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विदांट् 3 (दवदy ১৮৭৩ খ্ৰীষ্টাব্দে বিদ্যানন্দকাটা গ্রাম-নিবাসী বিবুধশঙ্কর বস্থর সহিত ১০ বৎসর বয়সে মানকুমারীর বিবাহ হয়। বিধাতা তাহার অদৃষ্টে অধিক দিন স্বামি-সুখ লেখেন নাই ; দশ বৎসর যাইতে-না-যাইতেই তিনি একটি কন্যা লইয়া বিধবা হন । র্তাহার আত্মকথায় প্রকাশ :– “আমার পিত্রালয় সাগরদাড়ি গ্রামের পাচ ছয় মাইল দূরবর্তী বিদ্যানন্দকাটী গ্রাম। সেখানকার বস্থ মহাশয়েরা ধন, মান, বিদ্যাবত্তা এবং লোকহিতকর কাজের জন্য সুপ্রসিদ্ধ ছিলেন । আমার এক পিতৃব্যের দুইটি কন্যা ঐ বস্ব মহাশয়দিগের গৃহে বিবাহিত হইয়াছিলেন। আমার সেই দিদিদিগের কয়টি দেবর কার্য্যোপলক্ষে একদিন আমার সেই পিতৃব্যের বাটতে আসিয়াছিলেন। তাহাদেরই একজনকে দেখিয়। আমার মাতৃদেবী, তাহার সৌন্দর্য্য দেখিয়া এবং সচ্চরিত্রতার কথা শুনিয়া, নিজ জামাতা করিতে একান্ত ইচ্ছুক হন । ক্রমে সেই পাত্রের সহিত আমার বিবাহের সম্বন্ধ করেন ।...বাবা র্তাহার স্নেহের কন্যাকে মহাসমারোহপূর্বক, ১২৭৯ সালে ৭ই মাঘ তারিখে, সেই মনোনীত পাত্রের হস্তে সমর্পণ করিলেন ।...বিবাহের সময়ে চারি পাচ দিন শ্বশুরালয় গিয়া শ্বশুর, শাশুড়ী, ননন্দ, জা প্রভৃতি নূতন আত্মীয়দিগের যথেষ্ট আদর পাইয়া মাতৃ-ক্রোড়ে ফিরিয়া আসিয়াছিলাম ... তেরো বৎসর বয়সে পড়িয়াই অর্থাৎ বারো বৎসর উত্তীর্ণ হইবা মাত্র আমাকে দ্বিতীয় বার শ্বশুরালয়ে যাইতে হইয়াছিল ।...আমার শ্বশুরালয়ে গিয়া দেখি, তাহারা বৃহৎ পরিবার .সেখানে অনেক লোক ছিলেন, তাহাদের প্রকৃতিও নানা রকম। আমাকে “অদ্ভূত জীব” দেখিয়া অর্থাং আত্মগোপন করিতে অক্ষম, ছলনা-চাতুরীতে অনভ্যস্ত এবং গৃহ-কৰ্ম্মে