পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ ও বৈধব্য 3 * কবিতাটি মুদ্রিত করিয়া উক্ত কাগজের সম্পাদক টীকায় লিথিয়াছিলেন, “আমরা অবগত হইলাম, লেথিক কবিবর মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভ্রাতুপুত্রী ; ইনি ইহার পিতৃব্য-স্ব বাঙ্গালা অমিত্রাক্ষরে যে কবিতা লিখিয়াছেন, তাহাতে ইহার গলায় আমরা প্রশংসার শত-নরী হার পরাইলাম। চর্চা থাকিলে ইহার মধুময়ী লেখনী কালে অমৃত প্রসব করিবে ।” ইহা দেখিয়া পতিদেব আমাকে বলিয়াছিলেন, “লোকে প্রশংসা করিতেছে বলিয়া তুমি যেন গৰ্ব্বিত হইও না । দেখ দেখি, তোমার কাকা কত বড় ক্ষমতাপন্ন কবি ছিলেন ; তুমি তাহার উপযুক্ত ভ্রাতু-পুত্রী হইলে তবে আমার মুখোজ্জল হইবে। স্ত্রীলোকের রচনা বলিয়া সকলে এতটা প্রশংসা করে ।” যাহা হউক, আমি বিশেষ উৎসাহ পাইয়া দুই বৎসরের মধ্যে অনেকগুলি গীতিকাব্য, খণ্ডকাব্য এবং উপন্যাস লিখিয়াছিলাম। তাহা স্বামীর কাছে দিয়াছিলাম ; তিনি তাহার কয়েকটি বন্ধুর একান্ত প্রার্থনায় তাহাদিগকে দিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । স্বামী আমাকে কলিকাতা হইতে ইংরাজী শিখিবার জন্য অনুরোধ করেন । তাহার আদেশে আমি আনন্দের সহিত আমার একখানা খাতাকে সঙ্গিনী করিয়া বাটীর বালকদিগের নিকটে ইংরাজী পড়িতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। আমার বয়স যখন সতর - বৎসর তখনই আমার একমাত্র সস্তান— আমার কন্যাটি ভূমিষ্ঠা হয় [ ৩০ ডিসেম্বর ১৮৮০ }। তখন আমি পিত্রালয়ে ছিলাম । আমার কন্যার বয়স যখন কুড়ি দিন তখন আমার পরমারাধ্যতম স্নেহময় বাবা আমাদিগকে অকুল শোক-সাগরে ভাসাইয়া