পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" মানকুমারী বস্থג vব্রজমোহন দত্ত মহাশয়ের পুরস্কার প্রবন্ধ “বাঙ্গালী রমণীদিগের গৃহধৰ্ম্ম” রচনার প্রতিযোগিতা-পরীক্ষায়, আমি ১২৯৬ সালে পুরস্কার পাইয়াছিলাম। ঐ কথা শুনিয়া আমার কয়জন আত্মীয় “যশোহর-খুলনাসম্মিলনী” সভার বিজ্ঞাপনানুসারে "বিবাহিতা রমণীর কৰ্ত্তব্য” বিষয়ক প্রবন্ধ লিখিতে অমুরোধ করেন । সেই প্রবন্ধের জন্য প্রতিযোগিতাপরীক্ষায় আমি প্রথম হইয়াছিলাম এবং মিসেস্ বি. দে, প্রদত্ত রৌপ্য মেডেল পাইয়াছিলাম। সম্মিলনীর কর্তৃপক্ষের সেই প্রবন্ধটি উক্ত সম্মিলনীর কার্য্য-বিবরণীতে প্রকাশ করেন। বামা-হিতৈষী পণ্ডিতবর শ্ৰীযুক্ত তারাকুমার কবিরত্ব মহাশয় তাহা দেখিয়া নিজ সহৃদয়তায় একান্ত আনন্দিত হন, এবং আমাকে বিশেষ উৎসাহজনক পত্র লিখিয়া কতকগুলি পুস্তক পাঠাইয়া দেন। ঐ প্রবন্ধ দেখিয়া মহাত্মা ডাক্তার যদুনাথ মুখোপাধ্যায় (ধাত্রীশিক্ষ-প্রণেতা ) তাহার ‘বাঙ্গালী মেয়ের নীতিশিক্ষা পুস্তকে আমার নাম মুদ্রিত করিয়া, বিশেষ গৌরবস্থচক এক পত্র মুদ্রিত করিয়া, উহা আমাকে উপহার দিয়াছিলেন । ইহার পরে আরও দুই বারে আমি যশোহর-খুলনা-সম্মিলনীতে *মুশীলা রমণীর পরিজনের প্রতি কৰ্ত্তব্য” এবং “মহং জীবনী” নামক প্রবন্ধ রচনায় প্রথম বিবেচিত হই এবং শ্রেষ্ঠতম পুরস্কার পাই । শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত তারাকুমার কবিরত্ব মহাশয়ও আমাকে যার-পর-নাই স্নেহ ও অনুগ্রহ করিতে থাকেন । র্তাহার এবং বীমাবোধিনী-সম্পাদক মহাশয়ের আগ্রহাতিশয়ে আমি অধিকতর মনোযোগপূৰ্ব্বক ইংরাজী ও সংস্কৃত ভাষা শিখিতে চেষ্টা করি । তখন আমার শিক্ষক বিশেষ কেহই ছিল না। আমি ভগবানের উপরে নির্ভরপূর্বক একান্ত চেষ্টা করিতেছিলাম। একদিন ইংরাজী পড়িতাম আর একদিন সংস্কৃত পড়িতাম । ইংরাজী এবং দেবনাগর অক্ষর লিখিতেও শিখিতাম। ষে দিন আমার