পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-ক্ষত্রে সম্মান মানকুমারীর সাহিত্য-প্রতিভার প্রতি লক্ষ্য রাথিয়া ভারতসরকার ১৯১৯ খ্ৰীষ্টাব্দের জুলাই মাস হইতে র্তাহাকে মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত মাসিক ৩০২ ( পরে ৩৪২ ) বৃত্তি দিবার ব্যবস্থা করিয়া গুণগ্রাহিতার পরিচয় দিয়াছিলেন । ১৯৩৭ খ্ৰীষ্টাবো ( ফাল্গুন ১৩৪৩ ) চন্দননগরে বঙ্গীয়-সাহিত্যসম্মিলনের অনুষ্ঠান হয় । মানকুমারী এই সম্মিলনে কাব্য-সাহিত্য’ শাখার সভানেত্রী নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন । কলিকাতা-বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহাকেই সৰ্ব্বপ্রথম ‘ভুবনমোহিনী সুবর্ণ-পদক’ ও ১৯৪১ খ্ৰীষ্টাব্দে 'জগত্তারিণী সুবর্ণ-পদক’ দান করিয়া সম্মানিত করেন । ১৯৪০ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৮এ জুলাই শ্ৰীযুক্ত অনুরূপ দেবীর সভানেত্রীত্বে গুণমুগ্ধ স্বদেশবাসী কর্তৃক খুলনায় মানকুমারীর জয়ন্তী-উৎসব সমারোহে সম্পন্ন হইয়াছিল। মৃত্যু মানকুমারী ১৯৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৬এ ডিসেম্বর ( ৯ পৌষ ১৩৫০ } মধ্যরাত্রে ৮১ বৎসর বয়সে খুলনায় পরলোকগমন করেন । তিনি জামাতার গৃহে দৌহিত্র-দৌহিত্রীদিগের সহিত বাস করিতেন। একমাত্র কন্যা প্রিয়বালাকে হারাইয়া (মৃত্যু : ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৫) তিনি শেষজীবনে এক প্রকার জীবন্ম তা হইয়া ছিলেন। মৃত্যুর অনতিকাল পূৰ্ব্বে তিনি *আর কেন ?” নামে যে মৰ্ম্মম্পর্শী কবিতাটি লিখিয়াছিলেন, তাহ৮ উদ্ধৃত করিতেছি –