পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ు বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর লিথিয়াছেন — তিনি বাণিজ্য-ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন। এ বিষয়েও তাহার কল্পনা প্রবল ছিল ; একটা কিছু মস্ত ব্যাপার করিয়া তুলিব এই আশা তাহর মনে অহরহ জাগ্রত ছিল . বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট তাহার এই অর্থকরী বিদ্যার দিকে মনের টান গিয়াছিল । স্বদেশী বস্ত্রের কারবারে তিনি প্রথমে হস্তক্ষেপ করেন । এই বাণিজ্যে বলেন্দ্রনাথ ও সুরেন্দ্রনাথ উভয়ে যুক্ত ছিলেন । রবীন্দ্রনাথও পরে যোগদান করেন । কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কেবল পরামর্শদাতা ছিলেন, আমরা দেখিতাম যাহ। কিছু করতেন তাহা বলেন্দ্রনাথই । যাহা হউক, বলেন্দ্রনাথের যত্বেই প্রথম স্বদেশী ভাণ্ডার অাদির একরূপ সূত্রপাত হয় বলা যায় । এই সকল বাণিজ্যোপলক্ষে অধিক কায়িক পরিশ্রমই বোধ হয় তাহার শারীরিক বলক্ষয় করিয়া দিয়াছিল। কিন্তু ইহা সত্ত্বেও তাহার মনোবলের বড় একট। হ্রাস হয় নাই । তিনি জীবনের শেষ ভাগে আর্য্যসমাজ লইয়া ব্যস্ত হইয়া পড়েন । কিসে আর্য্যসমাজের সহিত ব্রাহ্মসমাজের মিলন ও একতা সাধিত হয় তাহার জন্য র্তাহার মনের একাগ্রত। [ ছিল ] * * বলেন্দ্রনাথ স্বল্পায়ু ছিলেন । মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে, ২০ আগষ্ট ১৮৯৯ (৩:ভাদ্র ১৩০৬ ) তারিখে তাহার মৃত্যু হয় । তিনি অপুত্রক ছিলেন । প্রফুল্লময়ীর স্মৃতিকথা বলেন্দ্রনাথের মাতা প্রফুল্লময়ী দেবী সংক্ষেপে র্তাহার স্কৃতিকথা লিখিয়া গিয়াছেন । এই স্মৃতিকথায় পুত্র বলেন্দ্রনাথ সম্বন্ধে তিনি যেটুকু সংবাদ দিয়াছেন, তাহা নিম্নে উদ্ধত করিতেছি । স্কৃতিকথায় + "বলেন্দ্রজীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয়”—গ্রন্থাবলী, পৃ. ৬