পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রফুল্লময়ীর স্মৃতিকথা 冷” আমাদের এই সব সুখ-দুঃখের ভিতর দিয়া বলু বড় হইতেছিল । বাপের ওই রকম অবস্থা হওয়াতে তার মনে তখন হইতেই একটা বড় হইবার প্রবল আকাঙ্ক্ষ হইয়াছিল। যখন আট-নয় বছরের, সেই সময় আমাকে প্রায় বলিত যে, সে লেখাপড় শিখিয়া ইঞ্জিনিয়ার হইবে । লেখাপড়া তার নিকট একটা প্রিয় বস্তু ছিল, কোনও দিন তাঃাতে অবহেলা করে মাই । যখন ওর তের বছর বয়স সেই সময় আমর। একবার শ্রীরামপুরে যাই । সেখানে থাকিবার সময় একদিন একটা মাঝি নৌকায়ু চড়িয়া গান গাহিতে গাষ্টিতে যাইতেছিল, “আমার খুড়োধুড়া পায় না মুড়া” ইত্যাদি । এই গান শোনার পর হইতেই ওর মনে কি এক রকম ভাব উপস্থিত হয়, তখন হইতে সে প্রায়ই এক একট প্রবন্ধ লিখিয় আমাকে শোনাইত বুঝিবার মত লেখাপড়া যদিও আমার তেমন স্থান ছিল না, কিন্তু তবুও শুনিয়া ভালই লাগিত । তখন ইতেঃ সাহিত্যের প্রতি তাঙ্গার দিন দিন অনুরাগ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । বলুর যখন ছব্বিশ বছর বয়স সেই সময় ডাক্তার ফকিরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা সাহান দেবীর সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাঙ্গে খুবই ঘট হইয়াছিল।...বলুর বিবাহ ১৩০২ সালে ২২শে মাঘ হয়। বউ যখন ঘৱে আসিল তখন এত কষ্ট ভোগের পর মনে বড় আহলাদ হইল, ভাবিলাম এইবার ঈশ্বর আমাকে একটু বুঝি মুখের মুখ দেখাইলেন । সাহানার যখন বিবাহ হয় তখন তাহার বয়স বার পূর্ণ হইয়া তের বছর । দেহের রং যদি ও শুমি বর্ণ, কিন্তু চেহারা খুবষ্ট স্বত্র ছিল । স্ব ভাবটি সরল শিশুর মত, যে ষােহ! বলিত বা ঠাট্টা করিত, সে তাঁহাই সত্য বলিয়। ধারণ। করিয়া লইত । অামার কম্ভ হয় নাই, সে আমার কস্তার স্থান অধিকার করিয়া লইয়াছিল ।. একবার আমাকে বলুকে সঙ্গে লইয়। কোন একটি আত্মীয়ের দুটি