পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী s সময় তাহার দীপ নিভিয়া গেল ।...যে দিন তার মৃত্যু হয় সেই দিন আমার স্বামী ক্রমাগত ঘর আর বাহির করিয়াছিলেন । শুনিয়াছি, চাকরদের নিকট বার বার জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, “বাড়ীতে সব তালাবদ্ধ কেন ?” যদিও তখন তিনি উন্মাদ অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু ভগবান তার ভিতরে ও পুত্ৰশোকের দারুণ যন্ত্রণার অনুভব-শক্তি দিয়াছিলেন। যাহাকে ছাড়িয়া কখনও থাকিতে হইবে একথা মনেও জানিতে পারি নাই, তাহাকে ছাড়িয়া একত্রিশ বছর কাটিয়া গেল । উনত্রিশ বছর বয়সে ১৩০৬ সাল, ৩রা ভাদ্র তাহার মৃত্যু হয় ।”—“আমাদের কথা” ; “প্রবাসী’, বৈশাখ ১৩৩৭ । द्गछिनदिली অল্প বয়স হইতেই বলেন্দ্রনাথের সাহিত্যাচু রাগের পরিচয় পাওয়া যায় । ঋতেন্দ্রনাথ লিথিয়াছেন :–“[সংস্কৃত কলেজের] ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠিয়া সংস্কৃত কাব্যরসের আস্বাদ অল্প অল্প লাভ করিলাম। সে সময়ে তাহার বয়ঃক্রম নবম বর্ষ মাত্র । সেই সময়ে আমাদের সাহিত্য রচনার প্রবৃত্তি উষাকিরণের রক্তিম আভার ন্যায় প্রথম দেখ দিল । আমরা দুজনেই কোন একটা বিষয় লইয়া লিখিতে আরম্ভ করিতাম। একই বিষয়ে বলেন্দ্রনাথ লিখিতে ন গদ্যে আমি লিখিতাম পদ্যে ।” ছাত্রাবস্থায় রচিত ও জ্ঞানদানন্দিনী দেবী-সম্পাদিত বালকে’ প্রকাশিত “একরান্ত্রি (বালকের রচনা )” নামে প্রবন্ধ ( জ্যৈষ্ঠ ১২৯২ ) ও “সন্ধ্যা” নামে কবিতাই ( ফাস্তুন ১২৯২ ) ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত র্তাহার প্রথম গদ্য-পদ্য রচনা । তাহার সাহিত্য-ক্ষমতার প্রতি পিতৃব্য রবীন্দ্রনাথের লক্ষ্য ছিল । রবীন্দ্রনাথেরই উৎসাহ-বারি-সিঞ্চনে তাহার সাহিত্য-জীবন বিকশিত হইবার স্থযোগ লাভ করে ।