পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর (>) অসীম রহস্ত মাঝে কে তুমি মহিমাময় !i জগত শিশুর মত চরণে ঘুমায়ে রয় ! অভিমান অহঙ্কার মুছে গেছে নাহি আর, ঘুচে গেছে শোক তাপ, নাহি দুঃখ নাহি ভয় । কোটি রবি শশী তারা, তোমাতে হয়েছে হারা, অযুত কিরণ-ধারা তোমাতে পাইছে লয় ! - (8) নিশীগ নিদ্রার মাঝে জাগে কার আঁখি-তার, সুপ্ত লোক লোকান্তরে সে আঁখি নিমেষহারা ! শ্বাসহীন মহাপ্রাণ মহাকাশে স্তম্ভমান, অচেতন বিশ্বে বহে অনন্ত চেতন-ধার) । ছাড় যোগী নিদ্রাবেশ, হের অঁখি অনিমেষ, মিল সে জাগ্রত প্রাণে, ভাঙ্গ এ কুহক-কার । বলেন্দ্রনাথ ও বাংলা-সাহিত্য সুবৃহৎ সম্ভাবনা লইয়া যাহার জন্ম, অকস্মাং কালের নিৰ্ম্মম আঘাতে অকালে তাহার তিরোধান ঘটার মত শোকাবহ ঘটনা পৃথিবীতে বিরল ; বাংলা সাহিত্য-সংসার হইতে বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরবিদায় এইরূপ একটি শোকাবহ ব্যাপার । তাহার অল্পস্থায়ী জীবনেই কয়েকটি কবিতা এবং অনেকগুলি প্রবন্ধের মধ্যে প্রতিভার যে-পরিচয় তিনি দিয়াছেন, তাহ বিস্ময় কর । রবীন্দ্রনাথ তাহার ‘বিচিত্র প্রবন্ধে’ বাংলা-সাহিত্যে প্রবন্ধ-রচনার যে নবধারার প্রবর্তক, বলেন্দ্রনাথের প্রবন্ধগুলিতে সেই ধারার পূর্ণ পরিণতি দেখিতে পাই । আজও পর্য্যস্ত