পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবেন্দ্রনাথ সম্বন্ধে স্মৃতিকথা > & “দেবেন্দ্রবাবু নিজেও একদিন আমাকে এ কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন । সে ইতিহাসটাও আপনাকে বলি শুনুন। প্রথমে একটু ভূমিকা আবশ্যক । আমি যখন কলেজে পড়ি, তখন দেবেন্দ্রবাবুর প্রথম প্রকাশিত কাব্য ‘ফুলবালা' ও 'নিঝরিণী" আমার হস্তগত হয় ...ভিন্ন ভিন্ন স্কুলের উপর অনেকগুলি কবিতা তাঙ্গাতে ‘ফুলবালা'য় ] ছিল । নিঝরিণী'তে “ময়না” শীর্ষক একটি কবিতা ছিল, সেটি পোয়ের রেভ ন কবিতার অনুবাদ । শেষোক্তটিই পড়িতে আমার বড় ভাল লাগিত . . . ১৮৯০ কিংবা উহার কাছাকাছি 'ভারতী’তে [ কার্তিক ১২৯৭ ] দেবেন্দ্রবার “হরশিঙ্গার” বাহির হইল। তাঙ্গার পর ‘ভারতী’তে এবং ‘সাহিত্যে দেবেন্দ্রবাবুর কবিতার যেন পুষ্পবৃষ্টি আরম্ভ হইয়া গেল । কবিতাগুলি একেবারে নূহন ঢঙ্গের । কবির ঘর গৃহস্থলীর কথা, স্ত্রীর কথা, ছেলেমেয়ের কথা পড়িয়া পড়িয়া তাহাকে যেন আমাদের নিতান্ত আত্মীয়ের মত মনে হইতে লাগিল । তাহার মধুময় হৃদয়খানির নানা ভাবের ছবি মাসিক পত্রের পৃষ্ঠায় মাসে মাসে আমরা দেখিতে লাগিলাম —দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া যাইতাম । কিছু দিন পরেই সোনার তরী’ প্রকাশিত হইল [ জানুয়ারি ১৮৯৪ ]। তাছার উৎসর্গপত্রে রবীন্দ্র বাবু ইহাকে “কবিভ্রাতা” বলিয়া অভিনন্দন করিলেন । ১৮৯১ কিংবা ১৮৯২ সালে মাঝে মাঝে আমি গাজিপুরে যাইতাম । * * * * * * গাজিপুরে দেবেন্দ্র বাবুর মেসে মহাশয় থাকিতেন, সেই স্থত্রে দেবেন্দ্রবাবুও অনেক দিন সেখানে ছিলেন। সেই সময় রবীন্দ্র বাবু একবার গাজিপুরে গিয়া কিছু দিন অবস্থিতি করেন,—তখন হইতেই দেবেন্দ্রবাবুর সহিত র্তাহার পরিচয় ও বন্ধুত্ব .