পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*>も দেবেন্দ্রনাথ সেন তখনকার দিনে আমার মনে কবি হইবার তুরাকাঙ্ক্ষা জাগরূক ছিল ।...মাসিক পত্রে কবিতা ছাপাইয়া নিরীহ পাঠকগণের উপর সে কালে অনেক অত্যাচার করিয়াছি । গাজিপুরে গোলাপক্ষেত্র দেখিয়া একটি সনেট লিখিয়াছিলাম,— “যেন হয় প্রেয়সীর প্রেমলিপিখানি, ফুটিয়াছে ভাবপুষ্প মাধুরী হিল্লোলে।” উপমাটির নূতনত্বে সাহিত্য-জগৎকে স্তম্ভিত করিয়া দিবার অভিসন্ধি করিতেছি, এমন সময়ে এক দিন সদ্যপ্রাপ্ত 'ভারতী’র মোড়ক খুলিয়া দেখি, “গাজিপুর” নামক দেবেন্দ্রবাবুর একটি কবিতা প্রকাশিত হইয়াছে [ আষাঢ় ১২৯৮ ]। তাহার প্রথম কয়েক লাইন এই,— এবে, গোলাপে গোলাপে, ছাইয় ফেলেছে, এ মধু কানন দেশ ; সখি, তুমিও আইস, গোলাপী অধরে, ধরিয়া গোলাপী বেশ । এই কবিতার পাশে আমার সনেটট হংসের পাশ্বে যেন বকটির মত বলিয়। মনে হইতে লাগিল । সুতরাং সে যাত্রা সাহিত্য-জগৎকে মার্জন। করিলাম। সেট আর কাগজে পাঠাইলাম না x তাহার পর কত বৎসর গেল । ১৯০৪ সালের জুলাই মাসে আমি রঙ্গপুরে প্রাক্টস করিতে যাই । ডাক-বাঙ্গলায় বাস করিতেছি, তখনও বাড়ী পাই নাই। দায়রার একটি মোক দমায়, আমার মক্কেল কলিকাতা হইতে সুইনহো সাহেবকে (তিনি তখন ব্যারিষ্টারি করেন ) লইয়া । আসিয়াছে, আমার পাশের কামরাতেই সুইনহো আছেন। বেল আন্দাজ নয়টা—আমি তাহার কাছে বসিয়া মোকৰ্দমার কাগজপত্র

  • কবিতাটি ১৩৩ সালের বৈশাখ-সংখ্যা ভারতীতে মুদ্রিত হইয়াছে।