পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& o দেবেন্দ্রনাথ সেন কি বালিকার স্তুতিবাদ করিয়াছি, তাহারাই আমার কবিতার মুখ্য বিষয় মনে করা ভূল। আমি তাহাদের মধ্য দিয়া বিভিন্ন দিক্ হইতে একটা ideal womanhood,-নারীত্বের পূর্ণ আদর্শ অঙ্কিত করিতে চেষ্ট৷ করিয়াছি। সেই জন্য এই সকল কবিতাতেও মাঝে মাঝে আধ্যাত্মিকতা আসিয়া পড়িয়াছে ; কারণ নারী জাতিকে আমি জগন্মাতার অংশরূপিণী, —ভগবানের সৌন্দৰ্য্যবিকাশ ব্যতীত আর কিছু মনে করিতে পারি না । আমার শিশুসম্বন্ধীয় কবিতাগুলিও এই senseএ ব্যক্তিগত হইয়াও সাৰ্বজনীন। এখানেও, আমি শিশু-চরিত্রে মুগ্ধ হইয়া বিভিন্ন ভাবে সেই অনন্ত সৌন্দর্ঘ্যের রেখাপাত করিতে প্রয়াস পাইয়াছি। একটা আদর্শ শিশু-জীবন, যাহার বিকাশ ভিন্ন হইলেও মূলত: এক, ইহাই আমার শিশু-কবিতাগুলির বিষয় । শিশুদের মধ্যে এই অভিন্নতা স্মরণ করিয়াই ত লিখিয়াছিলাম : — “ওরা সবাই ঢালা এক ছাচে ওরে, ছেলেদের কি জাত আছে ?” দেবেন্দ্রবাবু একটু চুপ করিলেন। পরে বলিলেন, “দেখুন, আমি পুরাতন স্কুলের’—মাইকেল মধুসুদন, হেমচন্দ্রের স্কুলের কবি। এই রবীন্দ্রের যুগে আমাদের স্তায় কবির আদর হওয়াই শক্ত ।” আমি বলিলাম,—“আপনার এই রবীন্দ্রপ্রভাবশূন্তত আপনাকে যে বিশেষত্ব দিয়াছে, তাহাতেই আপনি বতর্মান যুগে বাঙ্গলার বরেণ্য কবি হইয়াছেন।” দেবেন্দ্রবাবু বলিতে লাগিলেন, “আমার কিন্তু সময় সময় রবীন্দ্রীয় ছন্দে কবিতা লিখিতে ইচ্ছা হয় । সে যাহাই হউক, মাইকেলই আমার শুরু । ইংরাজী কবিদের মধ্যে Wordsworthকে আমি বড় পছন্দ করি । সংস্কৃত কাব্যের প্রভাবও আমার কবিতায় বোধ হয় আপনার