পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরেশচন্দ্র সমাজপতি “আমি এক দিন মুনীকে জ্ঞানেন্দ্রনাথ গুপ্ত, আই, সি, এস | বলিলাম, “চল, বঙ্কিম বাবুর কাছে যাই ।”. ‘সাহিত্য-কল্পদ্রুম’ ও ‘সাহিত্যে’র কয়েক সংখ্যা লইয়া আমর! শঙ্কিতচিত্ত্বে বঙ্কিম-দর্শনে যাত্রা করিলাম ... বঙ্কিম বাবু সাহিত্য সম্বন্ধে দুই চাবিট প্রশ্ন করিলেন। মূী বলিল, “সুরেশকে আমরা সম্পাদক করিয়াছি।” বঙ্কিম বাবু আমাকে বলিলেন, “তোমার দাদা-ম’শায় জানেন ?" আমি বড় বিপদে পড়িলাম । দাদা-ম’শায় জানেন কি না, তাহা আমিও ঠিক জানিতাম না ...মুন্নী বলিল, “বোধ হয়, তিনি জানেন।" বঙ্কিম বাবু আমাকে বলিলেন, “সে কি ? দেশের লোক তার পরামর্শ নিয়ে কাজ করে, আর তুমি তাকে না ব’লে কাগজ বার ক’রে ফেল্পে । তিনি শুনলে রাগ করবেন না ?” আমি বলিলাম, “বোধ হয় শুনেছেন । কিন্তু আমি জিজ্ঞাসা করি নি ।” বঙ্কিম বাবু বলিলেন, “দেখ, লেখা টেখ মন্দ নয়। কিন্তু তোমাদের এখন পড়বার সময়—এতে অনেক সময় মঃ হয় ...” মুন্নী আমাকে উদ্ধার করিন্স । সে বলিল, “বিদ্যাসাগর মহাশয় ওদের দু’ভাইকে স্কুলে দেন নি। বাড়ীতে পড়ান " বঙ্কিম বাবু বলিলেন, "কেন ? তার নিজেব স্কুল কলেজ রয়েছে, নাতীদের স্কুলে পড়ান না ? এর মানে কি ?” মুন্নী বলিল, “তিনি ওদের সংস্কৃত পড়িয়েছেন । তার মত, আগে সংস্কৃত প’ড়ে, পরে ইংরেজী পড়লে শীঘ্র শেখা যায়। ওরা বাড়ীতে পড়ে। তিনি বলেন, ভাল ক’রে পড়াশুনা করে ওর বাঙ্গল লিখবে । তিনি নিজে সময় পান নি, যা সাধ ছিল, লিখতে পারেন নি। ওদের দিয়ে লেখাবেন ।”—‘বঙ্কিম-প্রসঙ্গ’, পৃ. ৩১২, ৩১৮-১৯ ।