পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরেশচন্দ্র সমাজপতি র্যাহার। বাঙ্গল লিখিতে আরম্ভ করিয়াছেন, তাহদের সংখ্যা অতি অল্প । কৃতকাৰ্য্য লেখকের সংখ্যা আবার তদপেক্ষ আরও অল্প । অথচ, সে কালের অপেক্ষ, এ কালে, দেশে চিন্তাশীলের সংখ্যা বাড়িয়াছে, জ্ঞানের জ্যোতিঃ অধিকতর বিকীর্ণ হইতেছে । তথাপি, শিক্ষার অনুপাত অনুসারে ধরিতে গেলে, সে কালের তুলনায়, এ কালের বাঙ্গলা-সাহিত্যকে অনেক দরিদ্র বলিয়া বোধ হয় । শিক্ষিত যুবকগণের বাঙ্গলা-সাহিত্যে সেরূপ মনোযোগ ও অমুরাগ নাই, এই জন্যই সাহিত্যের এমন তুর্দশা ঘটিতেছে । এখন চিস্তার স্রোত পরিবর্তিত হইয়াছে প্রাচীন যুগের লেখকগণের মতের সহিত, প্রায়ই বৰ্ত্তমান নবীন যুগের শিক্ষিত যুবকগণের মতবিরোধ উপস্থিত হয় ; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই, সাহিত্যের প্রশস্ত ক্ষেত্রে তাহার মীমাংসা হয় না । সুতরাং, প্রাচীন ও নবীন মতের বিরোধে যে শুভ ফল প্রত্যাশ করা যায়, আমাদের সাহিত্যে, সে শুভ ফলের সম্ভাবনা নাই । এই জন্য, আমরা শিক্ষিত যুবকগণকে এই নূতন ‘সাহিত্যে’র আসরে আহবান করিতেছি । র্তাহারা পুৰ্ব্বতন আচাৰ্য্যগণের পদবীর অনুসরণ করুন, আপনাদের শিক্ষার ফল, যাহাতে আমাদের জাতীয়জীবনে অসুপ্রাণিত হয়, তাহার চেষ্ট করুন । জাতীয়-জীবনের উন্নত, সাহিত্য-সাপেক্ষ, এ কথা সৰ্ব্ববাদিসম্মত। দেশের শিক্ষিত যুবকগণ যদি সেই জাতীয়জীবনগঠনের জন্য প্রাণপাত না করেন, তবে আর কে করিবে ? আমরা দেশের অনেক গণ্য ও মান্ত ব্যক্তির নিকট উৎসাহ পাইয়াছি, সাহিত্য-সংসারে সুপরিচিত, অনেক শ্রদ্ধেয় লেখকের সাহায্য পাইয়াছি । এক্ষণে, শিক্ষিত যুবকগণ, ‘সাহিত্যে’র আসরে