পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের (সবা সুরেশচন্দ্র সাহিত্য-পরিষদের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। তিনি দীর্ঘকাল এই প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত থাকিয়া ইহার পরিচালন-কার্ষ্যে সহায়তা করিয়া গিয়াছেন । ১৩০৫-১৮ ও ১৩২৪-২৭ সালে তাহাকে আমরা পরিষদের কার্য্যনিৰ্বাহক-সমিতির সভ্যরূপে দেখিতে পাই । পরিষদের নিজস্ব মন্দির নিৰ্ম্মিত হইলে তাছার আনন্দের পরিসীমা ছিল না । ১৩১৫ সালের ২১এ অগ্রহায়ণ ( ৬ ডিসেম্বর ১৯০৮) গৃহপ্রবেশ-উৎসব অমুষ্ঠিত হয় । উৎসব-সভায় সুরেশচন্দ্র যে হৃদয়গ্রাহী রচনাটি পাঠ করিয়াছিলেন, তাহার কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিতেছি – “আজ ২১শে অগ্রহায়ণ বাঙ্গালীর স্মরণীয় দিন –বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনের ইতিহাসে, জাগরণের উজ্জ্বল পরিচ্ছদে, ১৩১৫ সালের ২১শে অগ্রহায়ণ সুবর্ণীক্ষরে দেদীপ্যমান থাকিবে । বাঙ্গালীর এই মাতৃমন্দিরে,—নবনিৰ্ম্মিত স্বারস্বত-নিকেতন,—মর পবিত্ৰ দেউল আমাদের জাতীয় তীর্থ, কে তাহা অস্বীকার করিবে ? বাঙ্গালীর উত্তরপুরুষ এই মহাতীর্থে সাহিত্য-সাধনায় অক্ষয় সিদ্ধি ও কাম্য ফল লাভ করিবে । আজ বাঙ্গালী যে কল্যাণকল্পতরুর প্রতিষ্ঠা করিলেন, ভবিস্তুতের কোনও মঙ্গলময় মুহূর্তে তাহার ফল ফলিবে । নবভাবে অনুপ্রাণিত,—মূতন আশায় উদ্দীপিত,—ম্যুত্বে প্রভাবিত,~~নিষ্কামকৰ্ম্মের ও স্বদেশ-ধৰ্ম্মের পুণ্যমহিমায় সমুদ্ভাসিত ভবিষ্যতের বাঙ্গালী সেই অমৃত ফলের অধিকারী হইয়া মর-জগতে অমরত লাভ করিবে । আজ সাধনার তপোবনে বৰ্ত্তমান যুগের সাহিত্যসাধকগণ যে ‘অগ্নিশরণের প্রতিষ্ঠা করিলেন,—এক দিন সেই পবিত্র সারস্বত আশ্রমে ভারতের ভারতী আবিভূত হইয়। বরাভয়ে বাঙ্গালীকে ধন্ত