পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ সুরেশচন্দ্র সমাজপতি ক্ষেত্রে জাতির জাতীয়তা প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে না --রাজনীতির রণক্ষেত্রে জাতীয়তার স্থান নাই | স্বার্থের সংঘর্ষ ও বিজেতা ও বিজিতের বিষম দ্বন্দ্বও জাতীয়তার উৎস মহে । বিশাল ও বিপুল, উদার ও পবিত্র সাহিত্যই মানবকে উদ্বুদ্ধ, উন্নত ও জাতীয়তায় স্বপ্রতিষ্ঠিত করিতে পারে। সাহিত্যই মানবের উন্নতির সোপান, মুক্তির পথ – ‘মান্যঃ পন্থ বিস্তুতে অয়নায় ।” যাহা সত্য ও সুন্দর, সাহিত্য তাহার রত্নাকর । সাহিত্য সত্য ও সুন্দরের উপাসক । সাহিত্য সত্য ও সুন্দরের একনিষ্ঠ সাধক ৷ সাহিত্যের সাধন, স্বষ্টি ও পুষ্টি জাতীয়তার, মানবতার ও মনুস্মৃত্বের কামধেনু যাহা সত্য ও সুন্দর নহে, তাত কখনও ‘শিব’ হইতে পারে না । আমরা সত্য ও সুন্দরের উপাসনায় বিরত হইয়া, সত্য ও সুন্দরের মহিমা বিস্কৃত হুইয়া, অধঃপাতের অন্ধকূপে পতিত হইয়াছি, —অবসাদে মুম্যু হইয়াছি । যাহা সত্য নহে, তাহা সুন্দর হইতে পারে না । যাহা সুন্দর নহে, তাহাও সত্য হইতে পারে না । যাহ। একাধারে সত্য ও সুন্দর,—তাহাই ‘শিব’ ! সেই সত্যং শিবং সুন্দরং ভারতের বরেণ্য দেবতা –এবং সাহিত্যই সেই দেবতার সুবর্ণ-দেউল, আমরা যেন কখনও তাহ বিস্মৃত না হুই । বাঙ্গালী ! আবার সাহিত্যের তপোবনে সত্য ও সুন্দরের উপাসনায়, সাধনায় প্রবৃত্ত হও,—সাহিত্যকে ‘সত্যং শিবং সুন্দরং বলিয়া বরণ কর, অসত্যের কুহেলিকা ভেদ করিয়া, ভারতে সত্যের মহিমা প্রতিষ্ঠিত হউক,—কুৎসিতের চিতাগ্নিশিখার উজ্জ্বল প্রভায় সুন্দরের স্বগীয় সৌন্দর্ঘ্য উদ্ভাসিত হইয়া উঠুক।. এই সাহিত্য-মন্দিরে আপনাদের প্রসাদে আমরা অতীত ইতিহাসের জীর্ণ সমাধি হইতে জাতীয় গৌরবের কঙ্কাল সংগ্ৰহ করি —ভবিষ্যতে কোনও পুণ্যবান্—মার প্রসাদে মৃতসঞ্জীবন মন্ত্র