পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু 을》 লাভ করিয়া, মহীয়ান ও গরীয়া হইয়া, সেই কঙ্কালে সুন্দর দেহের স্বষ্টি ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিবেন —তখন সেই নবপ্রাণবলে বলীয়ান, মহীয়ান ও গরীয়ান্‌ জাতীয় গৌরবের উদ্বোধনে ও আহবানে জাগরূক হইয়া নূতন বাঙ্গালী বাঙ্গালার কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া সমগ্র ভারতবাসীকে মুক্তির পথে পরিচালিত করিবে, তখন তাহার কোটা কণ্ঠে এই পুণ্য মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও কমলার বরপুত্ৰগণের গৌরবগাথা গান করিবে । সেই শুভদিন স্মরণ করিয়া, হে বাঙ্গালী, হে পতিত বিধ্বস্ত আত্মবিস্কৃত, সুপ্তোথিত বাঙ্গালী ! তুমি আজ জগতের আদি জ্ঞানসিন্ধু ঋগ্বেদের ভাষায় গাও— সমানী ব আকুতিঃ সমানি হৃদয়নি বঃ । সমানমস্তু বে। মনে যথা বঃ সুসহাসতি ॥” বাগ্মিতা সুরেশচন্দ্র বাগ্মী ছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনের সময় অনেকেই তাহার বক্তৃতা শুনিয়াছেন । বস্তৃতায় তিনি কখনও ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করিতেন না, বরং এরূপ করাকে অপরাধ বলিয়াই মনে করিতেন। সাধু ভাষায়, স্বল্প সময়ে বক্তব্য পরিস্ফুট করিয়া তিনি শ্রোতার মনে গভীর রেখাপাত করিতে পারিতেন । মৃত্যু সুরেশচন্দ্র অপুত্রক ছিলেন । তাছার পারিবারিক জীবন সুথের ছিল না। তিনি ১লা জামুয়ারি ১৯২১ ( ১৭ পৌষ ১৩২৭ ) তারিখে, ৫১ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। তাহার মৃত্যুতে ঐতিহাসিক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় যে “সুরেশ-স্মৃতি” লিখিয়াছিলেন, তাছার কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিতেছি :–