পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९९ সুরেশচন্দ্র সমাজপতি ‘সাহিত্যে’র একটা আসর ছিল । সুর ছিল বলিয়াই আসর ছিল । অর্থ ছিল না, প্রভুত্ব ছিল না, নিয়মিত সময়ে প্রকাশিত হুইবার সামর্থ্য ছিল না। তথাপি সাহিত্যে’র আদর ছিল, কদর ছিল, সমজদার ছিল । তাহার কারণ ঐ সুর। তাহ দেশের মুর, দশের সুর, ঐকতান বাদ্যের সম্মিলিত সুর । তাহাতে অপূর্ণতা ছিল ন, অবসাদ ছিল না, হা হতোহস্মি ছিল না, প্রাণপূর্ণতা ছিল । কি ছিল, এক কথায় তাহ ব্যক্ত করা যায় না । কি ছিল না, তাহা এক কথায় ব্যক্ত করা যায়, ছিল না—ভণ্ডামি । তাহ অশেষ মূৰ্ত্তিতে আত্মপ্রকাশ করিয়া বঙ্গ-সাহিত্যের অশেষ কল্যাণ সাধন করিত | প্রবন্ধনিৰ্ব্বাচনের কড়াকড়ি সাহিত্য’কে এই অসাধারণ গৌরব দান করিয়াছিল । এখন লেখকের সংখ্যা অসংখ্য, বুঝি বা পাঠকের সংখ্য অপেক্ষ অধিক । এমন দিনে যে কেহ লিখিতেছেন, যাহা ইচ্ছা লিখিতেছেন, বিষয়-বিন্যাসে ও বচনবিদ্যাসে স্বেচ্ছাচার সমান ভাবে প্রশ্ৰয় লাভ করিতেছে । এমন দিনে প্রবন্ধ নিৰ্ব্বাচন করা যে কত কঠিন, তাহ সাহিত্য’-সম্পাদককে সৰ্ব্বদা স্বীকার করিতে হইত। তথাপি দৃঢ়ত তাহার রক্ষাকবচ ছিল । এই দৃঢ়ত কেবল প্রবন্ধবর্জনেই ব্যক্ত হইত না, প্রবন্ধস্থষ্টিতেও ইহা অার এক আকারে আত্মপ্রকাশ করিত, তাহা আকার । সম্পাদক অনেক সময়ে নিজেই বিষয় নিৰ্ব্বাচন করিতেন, লেখক নিৰ্ব্বাচন করিতেন এবং লেখার জন্য ব্যতিব্যস্ত করিয়৷ তুলিতেন । এই দৃঢ়তা ‘সাহিত্যে’র আসরে যাহাদিগকে টানিয়া আনিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত টানাটানিতে না পড়িলে লেখনী ধারণ করিতেন না । ইহাতে অনেক নুতন পুরাতন লেখক জড়ত। ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন । ইহার জন্য যে তাড়ন ছিল, সে বড়