পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भृङ्गा さ○ মধুর স্নেহের তাড়না, তাহ কেমন করিয়া প্রয়োগ করিতে হয়, সমাজপতিই তাহ জানিতেন । - ‘সাহিত্যে’ ভণ্ডামি ছিল না বলিয়াই গোড়ামি তাহাকে সঙ্কীর্ণ নীতিতে গণ্ডীবদ্ধ করিতে পারে নাই । এই উদারত না থাকিলে প্রকৃত সাহিত্য গড়িয়া উঠিতে পারে না । বিদেশের সাহিত্যে যাহা কিছু ভাল বাহির হইত, বিদেশী বর্জনের তুমুল আন্দোলনের দিনেও, তাহ সাদরে সাহিত্যে স্থান লাভ করিত । সাহিত্যের সমালোচনা ‘সাহিত্যে’র বিশিষ্ট গৌরব বলিয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছিল । তাহাতে অকুষ্ঠিতভাবে তিরস্কার পুরস্কার বিতরিত হইত । সাহিত্যকে অনাবিল রসের আধার করিবার আন্তরিক আকুলতাই ‘সাহিত্য’-সম্পাদককে সমালোচনায় সীমাশূন্ত, ক্ষমাশূন্ত কশাঘাত প্রকাশ করিতে অভ্যস্ত করিয়া তুলিয়াছিল । মমত্ববোধ যত আন্তরিক হয়, অনধিকার চর্চাকে সুশাসিত করিবার ইচ্ছা ততই প্রবল হইয়া থাকে । আমার দেশ, আমার ভাষা, আমার সাহিত্য, এই মমত্ববোধ প্রবল হইলে, তাহার প্রতি উৎপীড়ন অত্যাচার নিবারণের জন্ত স্বতই সীমাশূন্ত ক্ষমাশুম্ভ কশাঘাত প্রয়োগ করিবার প্রয়োজন অনুভূত হইয় থাকে । ইহাতে বঙ্গসাহিত্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাই,—লাভবান হইয়াছে। সুরেশ শক্তিধর ছিল । বক্তৃতায় ও রচনায় তাহার অনেক পরিচয় প্রকাশিত হুইয়া রহিয়াছে । তাহার মূল আন্তরিকতা । এই গুণ তাহার অনেক দোষ ঢাকিয়া ফেলিয়াছিল, এই গুণে অনেক সময়ে তাহাকে তিরস্কার করিতে গিয়া ক্ষমা করিয়া ফিরিয়া আসিতে হইত । সুরেশ চলিয়া যাইবে, আমাকে তাহার কথা লিখিতে হুইবে, এমন কথা এক দিলও মনে হয় নাই । ইহাই আমার প্রধান শোক – “সাহিত্য’, ফাল্গুন-চৈত্র ১৩২৭ ।