পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९५ সুরেশচন্দ্র সমাজপতি প্রবল ও প্রভাবপূর্ণ ছিল। তাহার গ্রন্থাবলী সাহিত্যবিলাসের উদাহরণমাত্র নহে, তাহার আন্তরিকতার ফল । তিনি নিজে যাহা কৰ্ত্তব্য মনে করিতেন, স্বদেশ ও সমাজকেও সেই কৰ্ত্তব্যপথে প্রবর্তিত করিবার অভিলাষী ছিলেন । কিন্তু তাহার সংস্কারকের আড়ম্বর ছিল না । পারিবারিক প্রবন্ধে যে হিন্দু পরিবারের চিত্র দেখিতে পাও, ভূদেব নিজের পরিবারটি তদনুরূপ করিবার জন্য প্রাণপণে যত্ন করিতেন। র্তাহার সামাজিক প্রবন্ধের আদর্শেই তিনি সমাজের সহিত ব্যবহার করিয়া গিয়াছেন । আচার প্রবন্ধে তিনি যাহ! সদাচার বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, নিজে সেই আচার অবলম্বন করিয়াছিলেন। জীবন ও জীবনের কাৰ্য্যে এমন ঐক্য, বাঙ্গালীজীবনে দুর্লভ । ভূদেব বাবুর সকল মত সকলের অমুমোদিত বা স্বীকাৰ্য্য হইবে, এমন মনে করা যায় না। কিন্তু ইহ স্বীকাৰ্য্য যে, ভূদেব কেবল উপদেশ দিয়া বিরত হন নাই, নিজে আজীবন স্বকীয় অভিমতকে ভিত্তি করিয়া, আত্মপরিবার গঠন করিয়াছেন, সমাজের সহিত ব্যবহারে আসিয়াছেন, সদাচারপূত হইয়া শাস্ত্রামুশীলনে, ধৰ্ম্মচিন্তায় এবং স্বদেশের ও সমাজের মঙ্গলাম্বুধ্যানে শেষ জীবন অতিবাহিত করিয়াছেন । এবং সেই জীবন, জীবনযাত্রার প্রণালী ও তাছার পরিণাম, বাঙ্গালীর উত্তম আদর্শ ;– র্তাহার চরিত্র, পরার্থপর অথচ আত্মস্থ –সংসারলিপ্ত অথচ নিষ্কাম বীরের উজ্জ্বল উদাহরণ। তাহার চরিত্র ও সামাজিক ব্যবহার হইতে আমরা অনেক শিক্ষা লাভ করিতে পারি। ভূদেব নিঃস্ব ব্রাহ্মণপণ্ডিতের গৃহে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, বিলাতী শিক্ষায় ও ইংৰাজী বিদ্যায় পারদর্শী হইয়াও, স্বদেশীয় শাস্ত্রে আস্থাবান ছিলেন। তিনি আজীবন অধ্যাপকশ্রেণীর ভক্ত ছিলেন,—মৃত্যুকালে সেই হৃদয়ের ভক্তি কার্য্যে পরিণত ও ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন। আজীবন