পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిd সুরেশচন্দ্র ও বাংলা-সাহিত্য গিয়াছেন। দর্শনের গঙ্গা, বিজ্ঞানের সরস্বতী ও সাহিত্যের যমুনা,—মানব-চিন্তার এই ত্রিধারা রামেন্দ্র-সঙ্গমে যুক্তবেণীতে পরিণত হইয়াছিল। তাছার সারস্বত-সাধনার ত্রিবেণীসঙ্গম বহু দিন বাঙ্গালীর তীর্থ হইয়া থাকিবে । বাঙ্গলা ভাষা, বাঙ্গালীর সাহিত্য তাছার সাধনার বস্তু ছিল । তিনি সে সাধনায় সিদ্ধ হইয়াছিলেন । রামেন্দ্রসুন্দরের ভাষা অতুলনীয়। তাহার সহজ, প্রাঞ্জল, সরস ভাষা, তাছার নিপুণ রচনা-রীতি বহুকাল বাঙ্গালী লেখকের লোভনীয় হইয়া থাকিবে । তাহাকে শুধু লেখক বা সাহিত্যিক ভাবিলে আমরা ভূল করিব। তিনি শক্তিশালী, ভাবগ্রাহী ব্যাখ্যাত ছিলেন । দুরূহ বিষয়ের বিশদ আলোচনায় ও বিশ্লেষণে তিনি যে শক্তির পরিচয় দিয়াছেন, তাহ। বৰ্ত্তমানেও বিস্ময়ের সঞ্চার করে ; ভবিষ্যতেও তাছা বিস্ময়ের সৃষ্টি করিবে । বিজ্ঞান ও দর্শনের জটিল তত্ত্ব তিনি জলের মত বুঝাইয়। দিতেন ; নিজে আত্মসাৎ করিয়া, তদভাবে ভাবিত হইয়া, সমগ্রের স্বরূপ দর্শন করিতেন ; তাহার পর সমাহারে স্বীয় চিস্তার অভিব্যক্তির ফল দেশবাসীকে দান করিতেন। আলোচ্য বিষয়ের আদি হইতে অস্তু পৰ্য্যন্ত সকল পৰ্য্যায়ে তাহার দৃষ্টি থাকিত। পল্লবগ্রাহিতা তাছার চরিত্রে ছিল না ; তাহার হুষ্ট সাহিত্যেও নাই । রামেন্দ্রসুন্দরের জীবনের সকল কৰ্ম্মের মূল—দেশাত্মবোধ । তিনি দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হইয় আপনার ক্ষেত্রে স্বাদেশিকতার পূজা করিয়া গিয়াছেন। নানান দেশে নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা, পূরে কি আশা’ই তাহার সাহিত্য-জীবনের মূলমন্ত্র ছিল। বাঙ্গালার সাহিত্য-পরিষদ রামেন্দ্রসুন্দরের কীৰ্ত্তিস্তম্ভ। রামেন্দ্রসুন্দরের বুকের রক্তে পরিষদ-মন্দিরের ইটের পর ইট গাথা হইয়াছিল বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এই যে পরিষদে আত্মদান, ইহার মূলও