পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরেশচন্দ্র ও বাংলা-সাহিত্য לפא র্তাহার দেশাত্মবোধ । দেশাত্মবোধের সাধনার জন্যই রামেন্দ্রসুন্দর এই দেশমাতৃকার মন্দির গড়িয়াছিলেন । কলেজে, পরিষদে, সাহিত্যে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে মাতৃপূজাই তাহার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। তিনিও বলিতে পারিতেন,—তোমারই প্রতিমা গড়ি মন্দিরে মন্দিরে । তিনি তাহার দেবতার জন্ত মন্দির গড়িতেন, এবং মন্দিরে মন্দিরে তাহার দেবতাকে প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা করিতেন । এমন আন্তরিক চেষ্ট৷ কি বাঙ্গালীর ভাগ্যেও নিস্ফল হইতে পারে ? বাঙ্গালার প্রাচীন সাহিত্য, বাঙ্গালার পুরাতত্ত্ব, বাঙ্গালার ইতিহাস, বাঙ্গালার পুরাবস্তু, বাঙ্গালার অবদান,—এক কথায় বাঙ্গালীর প্রাণ র্তাহার ধ্যানের বস্তু ছিল । জাতীয়তার এমন একনিষ্ঠ, আত্মমগ্ন, প্রচ্ছন্ন উপাসক আমি জীবনে অতি অল্প দেখিয়াছি। যেমন গঙ্গা পূজে গঙ্গাজলে রামেন্দ্রসুন্দরও তেমনই বাঙ্গালার উপকরণে বাঙ্গালার পূজা করিতেন, বাঙ্গালার ভাবে বাঙ্গালার সাধনা করিতেন । অধ্যাপক রামেন্দ্রসুন্দর বাঙ্গালা ভাষায় ক্লাসে অধ্যাপনা করিতেন । প্রিন্সিপাল রামেন্দ্রসুন্দর বাঙ্গালীর পরিচ্ছদ ধুতী চাদর পরিয়া রিপণ কলেজে অধ্যক্ষত করিতেন । তিনি দুই বার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেশক-রূপে প্রবন্ধ পাঠ করিবার জন্ত নিমন্ত্রিত হইয়া প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন । কেন জানেন ? রামেন্দ্র বাঙ্গালা ভাষায় প্রবন্ধ পড়িবার অমুমতি চাহিয়াছিলেন । তাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি নহে, এই জন্য বাঙ্গাল। দেশের বাঙ্গালীর বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাঙ্গালী শ্রোতার মজলিসে, রামেন্ত্রসুন্দর বাঙ্গালী ভাষায় প্রবন্ধ পড়িবার অমুমতি পান নাই । তিনি তৃতীয় বার অমুরুদ্ধ হইয় লেখেন,—‘ইংরাজী রচনায় আমি অভ্যস্ত নহি । বাঙ্গলা ভাষায় লিখিবার অনুমতি দিলে আমি “বেদ” সম্বন্ধে প্রবন্ধ পড়িতে পারি | তখনকার ভাইসূচ্যান্সেলার সার ডাক্তার দেবপ্রসাদ