পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసి সুরেশচন্দ্র সমাজপতি রামেন্দ্রসুন্দরকে সে অধিকার দান করিয়া বাঙ্গালীর কৃতজ্ঞতার অধিকারী হইয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে বাঙ্গালা কেতাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য হইয়াছিল বটে, কিন্তু আমরা বলিব, বাঙ্গালার বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শুভ মুহূর্তের পূৰ্ব্বে বাঙ্গলা ভাষার কোনও স্থান ছিল না। রামেন্দ্রসুন্দরই তাহার স্থচনা করিয়া বাঙ্গালা দেশে চিরস্মরণীয় হইয়া গিয়াছেন। বাঙ্গাল দেশের বিশ্ববিদ্যালয় অদূর-ভবিষ্যতে যাহা হইতে বাধ্য, রামেন্দ্রসুন্দর প্রেতিভার, মনস্বিতার, স্বাদেশিকতার ও মাতৃভাষা-ভক্তির নিষ্ক্রয়ে বাঙ্গালীকে তাহার অধিকার করিয়া গিয়াছেন। তাছার যজ্ঞ শুধু সাহিত্যের হিসাবেই চিরস্মরণীয় নয়, এই হিসাবেও তাহা রামেন্দ্রসুন্দরের আন্তরিক দেশভক্তি ও স্বাদেশিকতারও জয়স্তম্ভ বটে । রামেন্দ্র সম্বন্ধেও আমরা অকুষ্ঠিতচিত্তে বলিতে পারি,--নিচথন জয়স্তম্ভান গঙ্গাস্রোতোহস্তরেষু স: | রামেন্দ্রসুন্দরের জীবনের মাধুৰ্য্য, হৃদয়ের ঔদার্য্য, চরিত্রের শুচিত, র্তাহার বন্ধুবৎসলতা, অমায়িকতা ও সদাশয়তার পরিচয় দিবার স্থান নাই, সময়ও নাই। তাহার শ্রদ্ধাবুদ্ধির তুলনা হয় না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । তাহার আকর্ষণ করিবার শক্তি ছিল । তিনি স্বয়ং কৰ্ম্মী ছিলেন ; এবং চুম্বক যেমন লৌহকে আকর্ষণ করে, তিনি তেমনই কৰ্ম্মীদিগকে আকর্ষণ করিতেন । তিনি ভাবুক ও ভাবের প্রস্রবণ ছিলেন । যে ভাবে বিভোর হইয়া তিনি বাঙ্গালার পূজায় মজিয়াছিলেন, সেই ভাবে বিভোর করিয়া তিনি অনেক শক্তিশালী লেখককে বঙ্গল ভাষার সেবায় দীক্ষিত করিয়া গিয়াছেন। রামেন্দ্রসুন্দর অদ্ভুত শক্তির অধিকারী ছিলেন। তিনি কলেজে কয়খানি সংস্কৃত গ্রন্থ পড়িয়াছিলেন, জানি না। কিন্তু উত্তর-জীবনে দর্শন, উপনিষদ, বেদে অসাধারণ পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন । আমার