পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরেশচন্দ্র সমাজপতি భిలి সছিত ত্রিশ বৎসরের পরিচয়ে আমি তাছাকে সংস্কৃত শাস্ত্র অধ্যয়নের জষ্ঠ্য কখনও গুরুকরণ করিতে দেখি নাই। কালিদাসের উমার শিক্ষার সেই বর্ণনা মনে পড়ে ‘প্রপেদিরে প্রাক্তনজন্মবিদ্যা: ’ লর্ড হার্ডিঞ্জ যাহাকে এসিয়ার রাজকবি’ বলিয়া সম্মানিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, এবং আমরা যাহাকে 'এলিয়ার গণতন্ত্রের কবি’ বলিয়া জানি, রামেন্দ্রসুন্দরের সহিত ভাব-যজ্ঞে তাহার সাহচৰ্য্য ছিল । স্বদেশী যুগ হইতে আরম্ভ করিয়া জীবনের শেষ পর্য্যস্ত রামেন্দ্রগুনারের সহিত রবীন্দ্রনাথের ভাবের বিনিময় হইয়াছিল । রবীন্দ্রনাথ ১৩২১ সালে পরিষদে রামেন্দ্রসুন্দরের সংবৰ্দ্ধনায় অভিনন্দনে লিখিয়াছিলেল,—“সৰ্ব্বজনপ্রিয় তুমি, মাধুৰ্য্যধারায় তোমার বন্ধুগণের চিত্তলোক অভিষিক্ত করিয়াছ । তোমার হৃদয় সুন্দর, তোমার বাক্য সুন্দর, তোমার হাস্ত সুন্দর, হে রামেশ্রশুন্দর, আমি তোমাকে সাদর অভিনন্দন করিতেছি । কে অস্বীকার করিবে, এই সুলার অতিনন্দনের প্রত্যেক অক্ষর সত্য । আর তখন কে জানিত, যাহার জীবন এমন সুন্দর, তাহার মৃত্যুও এমন সুন্দর হইবে,—কোনও মৃত্যু এমন মুন্দর হইতে পারে ? রবীন্দ্রনাথ রামেঞ্জস্বন্দরের লোকান্তরের কয়েক দিন পূৰ্ব্বে “নাইট” উপাধি বর্জন করিয়া নব-ভারতে ত্যাগের, দেশাত্মবোধের ও জাতীয় বেদনাবোধের মহিমা প্রতিষ্ঠিত করেন । শনিবার তাহার পদত্যাগপত্রের অমুবাদ ‘বসুমতী’র অতিরিক্ত পত্রে প্রকাশিত হয় । রবিবার রামেন্ত্রবাবু এই সংবাদ অবগত হন, এবং রবীন্দ্রবাবুর পত্রের অমুবাদ পাঠ করেন । রামেন্দ্রবাবু তাহার কনিষ্ঠকে দিয়া রবিবাবুকে বলিয়া পাঠান, আমি উত্থানশক্তিরহিত । আপনার পায়ের ধূলা চাই।’ সোমবার প্রভাতে রবীন্দ্রনাথ রামেন্দ্রবাবুর শয্যাপাশ্বে উপনীত হন । ·ද්