পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 সত্যেঞ্জনাথ দত্ত —না, একটি সদ্যজাত নিতান্ত শিশুর ক্রননশক ! এক মুহূৰ্ত্তে— আমার সমস্ত অবজ্ঞা সমস্ত বিরাগ অন্তৰ্হিত হইয়া গেল। এই আবর্জনার মধ্যে যে ক্ষুদ্র মানবসস্তানটির কণ্ঠস্বর শুনিলাম, সে স্বর আমাদের নিতান্ত পরিচিত লে আমার কিংবা তোমার ঘরে যে মূৰ্ত্তিতে প্রকাশ হইয়া থাকে এখানেও তাহার কিছুমাত্র ব্যতিক্রম ঘটায় নাই । সে স্বর মনের যে পর্দায় আঘাত করে এবং যে অপূৰ্ব্ব সঙ্গীতের সামঞ্জস্য এবং সামঞ্জস্তের সঙ্গীত রচনা করে তাহা স্থান ও কালের একেবারে অতীত হইয়া মনের রাজ্যে সনাতন হইয়া সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। মানবশিশু ! মানবের সমস্ত আশা ভরসা ! মানবের ভবিষ্যৎ ! মানবের সর্বস্ব ! তুমি সেই শিশুদের অপূৰ্ব্ব এবং অপরিণত জীবনের পথপ্রদর্শক, সহচর এবং গুরু একাধারে । তোমার জীবন ধষ্ঠ । এইমাত্র পূজনীয় জ্যোতিরিন্দ্রবাবুর পত্র পাইলাম। পত্র পড়িয়া আনন্দিত যে হইয়াছি তাহা বোধ হয় লিথিয়া জানাইতে হইবে না । তিনি লিথিয়াছেন,— “হোমশিখা পাঠ করিয়া পরম আনন্দ লাভ করিলাম নামটি সার্থক হইয়াছে। এই কবিতাগুলির মধ্যে একটা পুণ্য তেজস্বিতা আছে— যাহা পূৰ্ব্বতন ঋষিদের হোমশিখাকে স্মরণ করাইয়া দেয়। ইহাতে উচ্চ চিন্তার সহিত কল্পনার সুন্দর সম্মিলন হইয়াছে । ইহার মধ্যে অনেক বাক্য আছে যাছা স্মরণ করিয়া রাখিবার যোগ্য । সমস্ত কবিতাগুলির মধ্যেই সাম্যরসের একটা স্রোত বহিতেছে । শেষ কবিতাটিতে ইহার চরম বিকাশ হইয়াছে । আমার মতে “সাম্যসাম” কবিতাটাই প্রচ্ছন্ন শ্রেষ্ঠ অংশ, যেন একটি সমগ্র বৃত্ত বাড়িতে বাড়িতে একটি সুন্দর পুষ্পে পরিণত হইয়াছে। আমার রাশি রাশি আশীৰ্ব্বাদ “ তুমি কি মনে করিতেছ। জানি না, আমার পক্ষে এই সমগ্র চিঠিটা তোমাকে না পড়াইয়া থাকিতে পারা একেৰাৱেই অসম্ভব । আমার বই হয়ত এতটা