পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रक्रमांदठी లిలి যেমন মনে করিয়াছিলেন, তেনন করিয়া বিদ্যুতের আলো জ্বালাইতে পারিলেন না, গড়ের বাদ্যও আসিল না । মেয়েরা অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন, কিন্তু মঙ্গল-আলোকে তাহার শুভ-উৎসব উজ্জল হইয়া উঠিল।” শুধু মিনির পিতৃগৃহ নহে—বঙ্গসাহিত্য এই পিতৃস্নেহের আলোকে উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে। রবীন্দ্রবাবুর অনেকগুলি ছোট গল্প এইরূপ Emotionএর স্বর্ণরেখায় উদ্ভাসিত । শিক্ষিত পাঠক সেগুলির সহিত পরিচিত । আড়ম্বর করিয়া সেগুলির পরিচয় দিতে যাওয়াই আমার পক্ষে चूंछेउl । রবীন্দ্রবাবুর সকল গল্পগুলিই যে ঘটনাবিরল, তাহা নহে । দৃষ্টান্তস্বরূপ র্তাহার “থোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন”, “প্রায়শ্চিত্ত”, “ত্যাগ”, “মুক্তির উপায়”, “জীবিত ও মৃত”, “মানভঞ্জন” প্রভৃতির উল্লেখ করিতে পাৱ৷ বায় । তবে সে ঘটনার মধ্যে এমন একট। কিছু আছে, যাহাতে সেগুলিকে বিশেষ করিয়া ছোট গল্পেরই উপযোগী করিয়া তুলিয়াছে। উপন্যাসে নানা ঘটনার ভিতর দিয়া এক একটি চরিত্র বিকশিত হইয়া উঠে । ছোট গল্পে চরিত্র-বিকাশের স্থান নাই । বর্ণিত চরিত্র বিকশিত ভাবেই পাঠকের সম্মুখে উপস্থিত করা হয়, এবং ঘটনাটির সঙ্গে সে চরিত্বের সামঞ্জস্য বিধান করিয়া দিতে পারিলেই লেখকের কার্ষ্য সম্পন্ন হইল । সুতরাং সে ঘটনাটি এমন হওয়া চাই, যাহাতে পর্দায় পর্দায় চরিত্রটির সঙ্গে মিলিয়া যায়, অথচ তাহার কোন অংশ নিরর্থক পড়িয়া না থাকে উক্ত গল্পগুলি আলোচনা করিলে এই কথার প্রমাণ পাওয়া যাইবে । যদি ছোট গল্পে এমন কোন ঘটনা ঘটে, যাহা বর্ণিত চরিত্রের সঙ্গে বেশ মিশিয়া যাইতেছে না অথবা সে চরিত্রটি বুঝিবার পক্ষে সে ঘটনাটি অত্যাবগুক নয়, তাহ হইলে সে ছোট গল্প ভাল হইল