পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী vt1 নাই । বিলাত হইতে দেশ, প্রাচীন হইতে আধুনিক বিষয়ের বিস্তারেও প্রভাতকুমার আশ্চৰ্য্য প্রতিভা ও দক্ষতা দেখাইয়াছেন। তাহার রসিক সহানুভূতিপরায়ণ চিত্তটির স্পর্শও আমরা নিৰ্ম্মল হাসি ও অক্রোধ বঙ্গের মধ্য দিয়া সর্বত্র লাভ করি ; জীবন ও জগৎকে দেখিবার ও দেখাইবার সহজ ভঙ্গিটি আমাদিগকে স্বতই মুগ্ধ করে। প্রভাতকুমারের সাহিত্যের প্রধান পরিচয় তাহার গল্পগুলি, তাহ সমালোচকের বিচার-বিশ্লেষণের অপেক্ষ রাখে না । তথাপি এ যুগের পাঠকের অবগতির জন্ত আমরা প্রভাতকুমারকে লিগিত রবীন্দ্রনাথ ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথের দুইখানি পত্র এখানে মুদ্রিত করিলাম । শান্তিনিকেতন, বোলপুর কল্যাণীয়েয়ু, তোমার গল্পের বই দুটি { ২য় সংস্করণের "নব-কথা’ ও ‘ষোড়শী’ ] এখানে আসিয়া পাইয়াছি । মনে ভাবিলাম সব গল্পই ত পূৰ্ব্বে পড়া হইয়াছে—ইহা আর পড়িব কি ? অন্তান্ত সাধারণ লোকের মত অপূর্বের প্রতি আমার একটু বিশেষ টান আছে। সময়টা তথন সন্ধ্য, হাতে কাজ ছিল না তাই নিতান্ত অলস ভাবে বইয়ের পাত উণ্টাইতে সুরু করিলাম—দেখিতে দেখিতে মনটা আটকা পড়িয়া গেল । দ্বিতীয় বার যেন নুতন করিয়া আবিষ্কার করিলাম তোমার গল্পগুলি ভারি ভাল । হাসির হাওয়ায় কল্পনার ঝোকে পালের উপর পাল তুলিয়া একেবারে হু হু করিয়া ছুটিয়া চলিয়াছে, কোথাও যে কিছুমাত্র ভার আছে বা বাধা আছে তাহ অনুভব করিবার জো নাই । ছোট গল্প লেখায় পঞ্চ পাণ্ডবের মধ্যে তুমি যেন সব্যসাচী অৰ্জ্জুন, তোমার গাণ্ডীব হইতে তীরগুলি ছোটে যেন সূর্য্যের রশ্মির মত—আর কেহ কেহ আছে যাহারা মধ্যম পাণ্ডবের মত—গদা ছাড়া যাহাঁদের অস্ত্র