পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় হাপ্তাপি কত গ্রন্থে ভারতবিবরণী সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে, বঙ্গ সাহিত্যে তাঙ্গার সারাংশমাত্র ও স্থান লাভ করে নাই ! কত পুরাতন তামফলকলিপি, প্রস্তরফলক-পিপি এবং স্তম্ভলিপি 'শাবিস্কৃত হইতেছে ; তাহাতে হিন্দুর কথা, অহিন্দুর কথা, বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারের কথা, বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম বিনাশের কথা,—কত ঐতিহাসিক কথাই প্রকাশিত হইতেছে । কিন্তু তাহ বঙ্গ সাহিত্যে সমাদর লাভ করে নাই । gারতবর্ষের গ্রামে মগরে তীর্থক্ষেত্রে পর্বতগাত্রে এখন ও যে সকল দেব মন্দির জীর্ণক লেবরে ধ্বংসকালের প্রতীক্ষায় নীরবে দণ্ডায়মান রহি মাছে, কে তাহার সংখ্যা নির্ণয় করিয়াছেন, কে বা তাহার ফলকলিপি সংগ্ৰহ করিয়া বঙ্গ ভাষার পুষ্টিসাধনার্থ গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন ? অথচ আমাদের ইতিহাস নাই বলিয়া গদ্যে পদ্যে কবিতায় উপহাসে সংবাদপত্রে সাময়িক সাহিত্যে কে না আক্ষেপেক্তি করিয়া থাকেন ? পুরা শুন রাজবংশের এবং জমিদারবংশের কত পুরাতন কাগজপত্র নীরবে কীটদষ্ট হইতেছে, কখন বা স্তান ভাবে আবে জনারাশির সহিত অনদরে অনলসাং হইতেছে, কে তাহার প্রতিলিপি রক্ষার জন্ত যথা:যাগ আয়োজন করিতেছেন ? ইতিহাসের উপকরণ এখন ৪ সংকলিত হয় নাই, তদৰ্থে যথাযোগ্য আয়োজন ও আরব্ধ হয় নাই ;--- অথচ শিশুপাঠ্য ইতিহাস রচনার বিরাম নাই । বলা বাস্থূল্য যে, তাহাতে এক শ্রেণীর গ্রন্থ-বিশেষের ছায়ামাত্রই পন: পুনঃ অঙ্কি ত হইতেছে । তাহাতে কত ঐতিহাসিক পম প্রমাদ অস্মদেশের বালক-বালিকার রন্ধে রক্কে প্রবেশ লাভ করিতেছে ! তাহার ধাহা বহু যত্নে বহু ক্লেশে কণ্ঠস্থ করিয়া পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ হইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি আচন্ধন করিতেছে, তাহার চরম ফল— আত্মাবমাননা ! বাঙ্গলার ইতিহাসেই ইহা অধিকতররূপে পরিস্ফুট হইতেছে।