পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ア অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় স্বদেশের পুরাবৃত্ত্বের উদ্ধার করিতে পারিতেন। কিন্তু এক্ষণে তিনি যে এ পরিশ্রম স্বীকার করিবেন, আমরা এত ভরসা করিতে পারি না । বাবু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের নিকট আমরা অন্ততঃ এমন একখানি ইতিহাসের প্রত্যাশা করিতে পারি যে, তদ্বিারায় আমাদের মনোদুঃখ অনেক নিবৃত্তি পাইবে । রাজকৃষ্ণ বাবুও একখানি বাঙ্গালার ইতিহাস লিখিয়াছেন বটে, কিন্তু তাহাতে আমাদের দুঃখ মিটিল মী । রাজকৃষ্ণ বাবু মনে করিলে বাঙ্গলার সম্পূর্ণ ইতিহাস লিখিতে পারিতেন ; তই ন লিথিয় তিনি বালকশিক্ষার্থ একখানি ক্ষুদ্র পুস্তৰ লিখিয়াছেন । যে দাতা মনে করিলে অদ্ধেক রাজ্য ও এক রাজক দান করিতে পারে, সে মুষ্টিভিক্ষা দিয়া ভিক্ষুককে বিদায় করিয়াছে।” ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র, বাবু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় এবং রাব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাহাদুর একে একে ইহলোক হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন । বঙ্কিমবাব মৃত্যুর পূৰ্ব্বে লিখিয়া গিয়াছেন—“এক সময়ে ইচ্ছা করিয়াছিলাম, বাঙ্গলার ঐতিহাসিক তত্ত্বের অনুসন্ধান করিয়া একখানি বাঙ্গলার ইতিহাস লিখিব । অবসরের অভাবে এবং অষ্ঠের সাহায্যের অভাবে সে অভিপ্রায় পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিলাম।” পূৰ্ব্বাচার্য্যগণের এই সকল কথায় স্পষ্টই বুঝিতে পার। যাইতেছে যে, একজনের চেষ্টায় এ অভাব কদাচ দূর হইতে পারে না । যতই প্রতিভাশালী হউন, কেহ যে উপকরণ সংগ্ৰহ না করিয়া ইতিহাস সংকলন করিবেন, স্থার সম্ভাবনা কোথায় ? যে দেশের ইতিহাসের উপকরণ বহু ভাষায় লিখিত, ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ও কালক্রমে বিলুপ্তপ্রায় হইতেছে, সে দেশের কোনও একজন ব্যক্তি সমস্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হইতে পারেন না । পারেন ন: বলিয়াই পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বে কথা উঠিয়াও, অদ্যপি ইতিহাস সংকলিত হয় নাই ; এত দিনের সাহিত্যশ্রম বিষয়াস্তরেই সমধিকরূপে বিন্যস্ত হইয়াছে। অনুরাগের অভাব ছিল না, প্রতিভার ও অভাব ছিল না ;