পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি ృసి কেবল উপকরণগুলি অনায়াসলভ্য ছিল না বলিয়াই পুৰ্ব্বাচার্য্যগণ ইহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পারেন নাই। উপকরণ-সংগ্রহের চেষ্ট না করিলে অতীতে যাহা হইয়াছে, ভবিষ্যতেও তাঁহাই হইবে,—কখন কখন ইতিহাস-রচনার জন্য উদ্বেগ অনুভূত হইবে এবং প্রতিভাশালী লেখকবর্গ হয় সে চেষ্টা পরিত্যাগ করিবেন, না হয় “মুষ্টিভিক্ষা দিয়া ভিক্ষুককে বিদায় করিতে” বাধ্য হইবেন . বলা বাহুল্য, ঐতিহাসিক চিত্র কোন ব্যক্তি, বংশ বা সম্প্রদায়বিশেষের মুখপত্র হইবে না । ইহা সাধারণতঃ ভারতবর্ষের, এবং বিশেষতঃ বঙ্গদেশের, পুরাতত্ত্বের উপকরণ সংকলনের জন্যই যথাসাধ্য ঘত্ব করিবে । সে উপকরণের কিয়দংশ যে সকল পুরাতন রাজবংশে ৪ জমিদার-বংশেই প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব, র্তাহীদের সহিত এদেশের ইতিহাসের ঘনিষ্ঠ সংশ্ৰব । সুতরাং প্রসঙ্গ ক্রমে ষ্টাহীদের কথার ও আলোচনা করিতে হইবে । যাহার। আধুনিক রাজা বা জমিদার, তাহাদের কথা নানা কারণে ভবিষ্যতের ইতিহাসে স্থান প্রাপ্ত হইবে । সে ভার ভবিষ্যতের ইতিহাস-লেখকের হস্তে রহিয়াছে । ঐতিহাসিক চিত্রের সহিত তাহার কিছুমাত্র সংশ্ৰব নাই—পুরাতত্ত্ব সংকলন করাই ইহার একমাত্র উদেখা ...” বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি বরেন্দ্র-অঙ্গুসন্ধান সমিতি অক্ষয়কুমারের অক্ষর কীৰ্ত্তি। তাহাকে সারণি করিয়া, দীঘাপতিয়ার কুমার শরৎকুমার রায় ১৯১০ সালে এই সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। সমিতির চিত্রশাল (মিউজিয়ম ) অক্ষয়কুমারের বড় আদরের সামগ্রী ছিল । তিনি বহুল পরিমাণে ই হার উৎকর্য সাধন করিয়া গিয়াছেন । শ্রক্ষিতীশচন্দ্র সরকার লিখিয়াছেন ( "প্রবাসী’, চৈত্র ১৩৩৬ ) :–