পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{y রমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৬৮ সনের ৩রা মার্চ প্রাতে স্বদেশের নিকট বিদায় লইয়া, আত্মীয়স্বজনগণের অগোচরে রমেশচন্দ্ৰ ' বিলাতযাত্রা করেন । এই যাত্রায় তাহার সঙ্গী ছিলেন দুই বন্ধু—বিহারীলাল গুপ্ত ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। পথিমধ্যে মাল্টা-দ্বীপ দর্শনের পর রমেশচন্দ্র ৰ্তাহার তৎকালীন মনোভাব এই কবিতায় ব্যক্ত করিয়াছেন ;— সুন্দর বসন্ত সুন্দর বসন্তুকাস্তি শোভিল ধরায়, সুন্দর বসন্তু যথা জগতে পশিছে, নিরানন্দ প্রবাসীর কি মুথ তাহtয় ! জীবন-বসন্তু মম যৌবনে উদিছে ! মাতৃভূমি পরিহরি বিদেশে ভ্রমণ, ঐ শোন যশোদেবী ভৈরব নিস্বনে, অনন্ত সমুদ্র-বক্ষে করি পর্য্যটন । ডাকে মোরে, যুঝিবারে যশের কারণে । চারি দিকে উৰ্ম্মিরাশি ভীষণ কল্পেীলে, সময়-সময়ে কেন ভীরু চিস্তা করি, উল্লাসে প্রমত্ত যেন অপেক্ষাঙ্গিয় চলে । দূরে যাক বিষণ্ণত,--চিন্তা-অশ্রুবারি। প্রবল সাগর-বায়ু উচ্চ রবে ধায়, নিৰ্ভয়ে যুকিব আমি যশের কারণ, প্রবাসীর কর্ণে যেন ছুথ-গান গায় । নাহি খেদ, হয় যদি শরীর পতন ! ৪ এপ্রিল ১৮৬৮—‘ইয়েরোপে তিন বৎসর’ { পরবর্তী ১১ এপ্রিল রমেশচন্দ্ৰ লণ্ডনে উপস্থিত হন । তিনি কালবিলম্ব না করিয়া লগুনের ইউনিভার্সিটি কলেজে প্রবেশ করেন। সে-সময়ে সিবিল সাব্বিস পরীক্ষার নিয়ম ছিল—পরীক্ষার্থীর বয়স ১৭ বৎসরের উদ্ধ ও ২১ বৎসরের নূ্যন হওয়া চাই । রমেশচন্ত্রের বয়স তখন ১৯ ; এই কারণে প্রথম বৎসর তাহাকে গুরুতর পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। ১৮৬৯ সনের জুন মাসে সিবিল সাব্বিস প্রতিযোগিতাপরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ছিল ৩২৩ ৷ ইহার মধ্যে মাত্র পঞ্চাশ জনকে নির্বাচিত করিবার কথা ; উৰ্ত্তীর্ণ ছাত্রগণের মধ্যে রমেশচন্দ্র তৃতীয় স্থান অধিকার করেন । ১৮৫৩ সনে এই প্রতিযোগিতাপরীক্ষার সুচনা হইতে রমেশচন্দ্রের পূৰ্ব্বে, বাঙালীর মধ্যে একমাত্র