পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী & এমত সুন্দর দৃষ্টান্ত তাহার কোনো কবিতাতেই দেখিতে পাই नाझे 1••• এতদেশীয় স্ত্রীজাতির সংপ্রতি বিদ্যালোচনা পূৰ্ব্বক রচনার সুচনা করিতেছেন, ইহার অপেক্ষ অধিক আহ্লাদকর ব্যাপার আর কি আছে! ই হার বিদ্যাবতী হইলেই দেশের সমস্ত দুৰ্দশ, দুৰ্গতি এবং দুনাম দূর হইবে তাহাতে আর সংশয় কি ?” “ঠাকুরাণী দাসী”র পরে আমরা যে সকল মহিলা-কবির পরিচয় পাই, তাহাদের মধ্যে “অশ্রীকণা’-রচয়িত্রী গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়া আছেন । অৰ্দ্ধশতাব্দীকাল তিনি একনিষ্ঠভাবে বঙ্গসাহিত্যের সেবা করিয়া গিয়াছেন । গিরীন্দ্রমোহিনীর জীবদ্দশায়, ১৩১৭ সালের আশ্বিন-সংখ। ‘ভারতী’ পত্রিকায় স্বর্ণকুমারী দেবী-লিখিত “অশ্রীকণা-রচয়িত্ৰী” নামে একটি স্বলিখিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় । ইহা হইতে র্ত{হার সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত অংশটি নিয়ে উদ্ধত হইল – “সন ১২৬৫ সালে ৩রা ভাদ্র [ ১৮ আগষ্ট ১৮৫৮ কলিকাত ভবানীপুরে মাতুলালয়ে গিরীন্দ্রমোহিনীর জন্ম হয় । গিরীন্দ্রমোহিনীর পিতা ৬হারাণচন্দ্র মিত্রের আদি নিবাস কলিকাতার চরি ক্রোশ উত্তরে, গঙ্গাতীরবর্তী পাণিহাটি গ্রামে । মজিলপুর গ্রামে গিরীন্দ্রমোহিনীর শৈশব অতিবাহিত হইয়াছিল । বাটস্থ বালিক-বিদ্যালয়ে ইনি প্রথম শিক্ষা লাভ করেন । দিনের অধিকাংশ সময়ই গ্রন্থপাঠে অতিবাহিত হইত। শিক্ষার প্রতি গিরীন্দ্রমোহিনীর অকৃত্রিম অনুরাগ ছিল । খেলাধুলার সময় খেলা করিতে তিনি বড় একটা ভালবাসিতেন না । বিদ্যালয়ে সৰ্ব্বদাই তিনি রৌপ্যপদ কাদি সৰ্ব্বোচ্চ পুরস্কার লাভ করিয়াছেন। শৈশব হইতেই তাহার চিত্ত পরদুঃখ কাতর, শান্তিপ্রিয়, তিনি যখন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন