পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>も রমেশচন্দ্র দত্ত “সিভিলিয়ানদের প্রতি ইংলিশম্যানের উপদেশ” নামে একটি ব্যঙ্গ কবিতা প্রকাশিত হইয়াছিল ; তাছার কয়েকটি স্তবক উদ্ধৃত করিতেছি :– y ίσ. হলে কাল আদমি কমিশনার যাদের দেখলে মনে ঘৃণা কর ঢাকো লাজে বদন ঢাকেশ । “ব্লাক নিগার” ব’লে ডাকে । এ যে সাদা প্রাণে লাগচে দাগ (হবে) তাদের নীচের কৰ্ম্মচারী কি সুখে আর জীবন রাখো ? এ অপমান সয়ো মাকে { 8 ఫి তোমরা মোরলিং পর, রোদন কর কালোর কেবল টাকা ভাল এমন চাকুরি ক’রে নাকে । অন্য ভাল দেখে নাকে । এখন দলে দলে সবাই মিলে কাল গরুর দুধটি সাদা “রেজিগ নেশন্‌” পত্র লেখে ॥ এইটি শুধু মনে রেখে ॥ রমেশচন্দ্র এক বৎসর বদ্ধমানের অস্থায়ী কমিশনরের কার্য্য করিয়াছিলেন, কিন্তু এক দিনের তরেও অধীন সিবিলিয়ান কৰ্ম্মচারীরা তাহার ব্যবহারে রুষ্ট হন নাই। ১৮৯৫ সনের অক্টোবর মাসে তিনি উড়িষ্যার কমিশনর হন, কিন্তু এবারও অস্থায়ী ভাবে । তাছার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইতেছিল ; তিনি ছুটিতে বিলাতযাত্রার—এমন কি, পেনশন লইবার সঙ্কল্পও মনে মনে পোষণ করিতেছিলেন । ২৪ মে ১৮৯৬ তারিখে তিনি পুরী হইতে অগ্রজকে লেখেন :– ...my health is breaking down. Since returning from England in 1893 I had malaria in 1894, had dyspepsia and sleeplessness in 1895, and am just now down with a return of rheumatism. I must go to England at the end of this year, and very likely never return to service again.