পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

13' গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী তিনি কন্যার নিকট একটি ইংরাজী কবিত; বাঙ্গালা ব্যাখ্যা করিয়া শুনাইয়াছিলেন । তাহ শুনিয়া বালিকা কন্ঠ। ছন্দে সেই বিদেশী কবিতার মৰ্ম্ম গাথিয়া পিতাকে দেখাইলেন । এষ্ট কবিতাটি “তপোবন” নামে 'ভারত-কুসুমে’ প্রকাশিত হইয়াছে । তার পর বালিকার কল্পনা বিকাশের সহায়তাকল্পে পিতা তাহাকে Paul and Virginia, Theodosius, Constancia &SfS (EF S 5z. Afstz i TIf°I করিয়া শুনাইতেন ! তাহা হইতে, এবং মাতামহী সংগৃহীত ‘মহানাটক’, ‘কোকিলদূত’, ‘যোজনগন্ধা’, ‘বাসবদত্তা’, ‘ইসফ জেলেখ’, ‘কবিকঙ্কণ প্রভৃতি পাঠ করিয়া গিরীন্দ্রমোহিনীর কাব্য-প্রতিভা ফুরিত হইয়। উঠে । দশ বৎসর বয়সে গিরীন্দ্রমোহিনীর বিবাহ হয় । তাহার স্বামী eনরেশচন্দ্র দত্ত বহুবাজার নিবাসী সন্ত্রান্ত জমিদার ৬অক্রর দত্ত মহাশয়ের প্রপৌত্র ৮দুর্গাচরণ দত্তের কনিষ্ঠ পুত্র । বিবাহের পর, বিদ্যাশিক্ষায় ব্যাঘাত জন্মিলেও কাব্যানুরাগ বিন্দুপরিমাণেও শিথিল হয় নাই । শিক্ষা নানা পথে তাহার প্রতিভাকে চালিত করিয়াছে । স্থচীর সূক্ষ্ম শিল্প এবং রন্ধনাদি কার্য্যে গিরীন্দ্রমোহিনী স্বনিপুণ । পরিণত বয়সে চিত্রকার্য্যেও তিনি সুপটু হইয়াছেন । র্তাহার অঙ্কিত অনেকগুলি উংকৃষ্ট চিত্র বঙ্গদেশের নানা শিল্প-প্রদর্শনীতে সমাদর ও পদকাদি লাভে সমর্থ হইয়াছে, ইহা অল্প প্রশংসার কথা নহে । গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা র’ প্রকাশ সম্বন্ধে বেশ একটু ইতিহাস আছে। ইংরাজী ১৮৭০ । ১৮৭২ ? ] খ্ৰীষ্টাব্দে তাহা রচিত গদ্যে পদ্যে লিখিত কয়েকখানি পত্র তাহার স্বামীর জনৈক বন্ধু “জনৈক হিন্দু মহিলার পত্ৰ” নাম দিয়া প্রকাশ করেন। পত্র প্রকাশিত হইলে, নববধূ গিরীন্দ্রমোহিনী অতিশয় লজ্জিত, ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হইয়। প্রবাসী স্বামীকে লিখিয়াছিলেন, “যদি আমার রচনা লোককে দেখাইতে