পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woły রমেশচন্দ্র দত্ত বর্ষণ করে লাজ-অঞ্জলি কল্যাণী পুরবাল জন-বন্ধুর আগমন-পথে লক্ষ কুসুম ঢালা । রমেশচন্দ্র ছিলেন বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের প্রথম সভাপতি (ইং ১৮৯৪ ) । তখন পরিষদের নিজস্ব মন্দির ছিল না, রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেবের বাটীতেই সভাদি অমুষ্ঠিত হইত। পরিষদের নূতন মন্দিরে পদার্পণ করিয়া এবং পরিষদের সব্বাঙ্গীণ উন্নতির পরিচয় পাইয়া তিনি আন্তরিক হর্ষ প্রকাশ করিয়াছিলেন । পরিষদের গঠনকার্য্যে রমেশচন্দ্র কিরূপ সহায়তা করিয়াছিলেন, তাহার পরিচয় এই প্রতিষ্ঠানের ষোড়শসাম্বৎসরিক কাৰ্য্যবিবরণে (বৈশাখ ১৩১৭ ) মুদ্রিত আছে । ইহাতে প্রেকাশ — S90 to Higos oftofoto Bengal Academy of Literature যখন কয়েক মাসের নিষ্ফল জীবমের পর বঙ্গীয়-সাহিত্যপরিষদে রূপান্তরিত হয়, তিনি সেই সময়েই প্রথম সভাপতিরূপে উহার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন । তাহার কিছু দিন পুৰ্ব্বেষ্ট বঙ্কিমচন্দ্র ইহলোক ত্যাগ করিয়াছেন ; পরিষদের গঠনকার্য্যে যাহারা ব্যাপৃত ছিলেন, তাহার এই নবপ্রতিষ্ঠিত সাহিত্য-সভার পরিচালনা-কাৰ্য্যে রমেশবাবুকেই যোগ্যতম ব্যক্তি বলিয়া স্থির করেন । দেড় বৎসর মাত্র পরিচালনার পর তিনি রাজকাৰ্য্য উপলক্ষে উড়িষ্যায় গমন করেন এবং তজ্জন্য তাহাকে পরিষদের সভাপতিত্ব ত্যাগ করিতে হয় ; কিন্তু তিনি সেই অল্প সময়েই পরিষংকে যে ছাচে ঢালিয়া গিয়াছেন, পরিষং তদনুযায়ী মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়াছে। তিনি যেরূপ যত্নের সহিত পরিষদের অধিবেশনে উপস্থিত হইয়া সমুদয় কাৰ্য্যের তত্ত্বাবধান করিতেন,যেরূপে কৰ্ম্মক্ষেত্রের পরিসর বাড়াইবার উপায় নির্দেশ করিতেন, যেরূপে আগ্রহের সহিত পরিষদের নবোধগত জীবনে বলসঞ্চার করিতেন, তাহা