পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী છે এত ইচ্ছা হইয়াছিল, তবে বলিলে আমি অন্ত কবিতা ন হয় দিতাম । পত্র কেন প্রচার করিলে ?” ইহার ফলেই গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘কবিতাহার’ প্রকাশিত হয় ।... ... গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রকৃতিটি প্রকৃতই কবিজনোচিত । গৰ্ব্ব নাই, দ্বেষ নাই, আড়ম্বর নাই । শান্ত মৃদু কথাবাৰ্ত্তায়, মিষ্ট মধুর বচনে অবরোধ-বাসিনী কবি নিতান্তই যেন ‘প্রকৃতিপালিতা' । আজও পলান্ত #fä ** 321=fos olfo (serious house-wife ) === 1 faz ভবসমুদ্রের কুলে তিনি আবার সমুদ্রেরই মত গম্ভীর । গিরীন্দ্রমোহিনীর জীবনে আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটন’, ‘ভারত’সম্পাদিকার সহিত র্তাহার অকৃত্রিম সখ্য ! এমন সখ্য ভাব সাহিত্যজগতে—বিশেষতঃ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে—বিরল বলিলেও অত্যু হয় না । এই সখ্যভাব আজীবন সমভাবে রহিয়াছে । ভাবুতীসম্পাদিক তাহার রচিত স্নেহলতা গিরীন্দ্রমোহিনীকে উপহার প্রদান করিয়াছেন, গিরীন্দ্রমোহিনীও সৰ্থীকে তদরচিত ‘শিখা’ প্রত্যুপঙ্গার দিয়াছেন । ইহাদিগের পরস্পরের প্রীতি-সম্পকের নাম, “মিলন” । একদিন গিরীন্দ্রমোহিনী ভারতী-সম্পাদিকার সহিত সাক্ষাং করিতে আসিয়। আপনার মাথার চুলের কাটা ফেলিয়া যান, সেই ছলে তাহাকে লক্ষ্য করিয়া ভারতী-সম্পাদিক। এই কবিতাটি রচনা করিয়াছিলেন,— অধরে মোহন হাসি, নয়নে অমৃত ভাসে, বিরহ জাগাতে শুধু মিলন পরাণে আসে । কই রে মিলন কোথা, সে কি হেথা আছে আর ! রাখিয়া গিয়াছে শুধু সরল পরশ তার । ফুলটি সে দিয়ে গেছে প্রভাতের আলো নিয়ে, হাসি যত নিয়ে গেছে অশ্র জল গেছে দিয়ে । . তঃ 5