পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী আজ কে আমি মান করেছি, রইলুম হয়ে মৌনব্রত, ভাবছি মনে দে থব এর রকম-সকম জানে কত ! বারেক দু বার চেয়ে চেয়ে, ভাবটা বুঝি বুঝলে তারা, হাসি-খুসি মুখখান। আজ কেমন তর আঁধারপারা ! ভেবে চিস্তে অবশেষে, মনে করে অঁচিার্তা>ি , ছোট ছোট হাতে ঘিরে, জুড়ে দিলে নাচানাচি । এমন শক্ত জাল বুনেছে,—সাধ্য নাই যে খুলে রচি ! মাঝখানেতে গগি পড়ে, অবাস্থ হয়ে চেয়ে আছি ! কিন্তু তবু তেমনি ধারা, মুখখান আজ বড়ই ব; ক', ছোট ছোট বুকের মাঝে ঠেকৃছে কেমন ফাক,-কি ! গুড়ি-গুড়ি বুড়ী হয়ে সম্মুখেতে কেউ বা এল, সজল চোখে শুকনে মুখে কেউ বা কোলে বসে পু’ল ! কচি আঙ্গুল মুখে পুরে দিলেন একটি শেয়ান মেয়ে, ভাবটা যে তার —ম বুঝি নয়, আনবেন হাসি অঁাকৃষি দিয়ে ! মুখের উপর মুখটি দিয়ে আদরে কেউ জড়ায় গল,— মরি হেসে, জানলে কিসে, সাধাস ধর পূরে পল ! বিরহিণী মরিতেও সাপ নাই, জীবনেও নাই সুখ, কি জানি, কি ক’রে গেছে, বধুর মধুর মুথ ! পরাণে অনল জলে, নিবাইতে নাহি চায়, জ্বলিতেছে দিবানিশি, আরো দহে সাধ যায় ! মিলন মধুর ছিল, বিরহ ও মধু তার ! নহে, কোন সাধে এবে বহে জীবনের ভার ?