পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/১২

莺 এক শত বৎসর পূৰ্ব্বে, ১৮৪ খ্ৰীষ্টারে গ্রারম্ভে কপি 12 এক ধনী জমিদার-বংশে কালীপ্রসন্ন সিংহের জন্ম হইয়াছি মাত্র ত্রিশ বংসরের স্বল্পস্থায়ী জীবন যাপন করিয়া তিনি ১৮৭- এই পরলোক গমন করিয়াছিলেন । কিন্তু উচ্চ সাহিত্য-প্রতিভা অসাধারণ বাস্তৃতাগুণে কালীপ্রসন্ন তাহার স্বল্পপরিসর জীবনকেই মহিমমণ্ডিত করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন যে, উনবিংশ শঙীর দেশে শ্রেষ্ঠ মনীষি-সম্প্রদায়ের মধ্যে র্তাহাকে আজ গণনা না-করিয়া নাই। তিনি নিতান্ত কিশোর বয়সেই দেশের এবং শের অনুষ্ঠানে আত্মনিয়োগ করিয়া এমন কতকগুলি মহতী কীৰ্ত্তি র গিয়াছেন যে অকাল-মৃত্যু এবং ভবিষ্কং কাল তাহার সেই কার্ট ট্র করিতে পারে নাই, বরঞ্চ তাহার চরিত্রের ঔদার্ঘ্য ও সাহিত্যিক প্রতিজ্ঞ আমাদের নিকট উত্তরোত্তর উজ্জলতরই হইয়া উঠিতেছে । আজ দীর্থ এক শতাব্দী পরে তাহার জীবনী ও কীৰ্ত্তি আলোচনা করিয়া জামস্থা এই আক্ষেপই করিতেছি যে, তাহার সকল আৱদ্ধ কীৰ্ত্তি সম্পূর্ণ হইৰা স্বযোগ পায় নাই ; পাইলে বাংলা দেশ উন্নতিমাগে আরও কিছু অগ্রগ হইতে পারিত । । . তুলনার দ্বারা কালীপ্রসয়ের প্রতিভা পরিস্ফুটতর হইবে । কালীপ্রস : বঙ্কিমচন্সের দুই বৎসর পরে জন্মগ্রহণ করিয়া ১৮৭৯ খ্ৰীষ্টাব্দে যখন " পরলোক গমন করেন, বঙ্কিমচন্দ্র তখন ললিতা ও মানলে’র কাবাৰিলাঙ্গ এবং বৈদেশিক বাণীসাধনা ত্যাগ করিয়া মাত্র দুর্গেশনন্ত্রিী, স্ট্র হওলা ও স্বর্ণালিনী রচনা শেষ করিয়াছেন। এখানে তখনও ভবিষ্কৃতের গর্তে। কিন্তু কালীপ্রসন্ন সেই স্বয়কা সমাজে, রাষ্ট্রে এবং সাহিতে এমন সকল ধাত্তি স্ব