পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wა মৃত্যুঞ্জয বিস্কালঙ্কার অপেক্ষাকৃত সঙ্গত কারণ এই যে, মৃত্যুঞ্জয় কেবলমাত্র “অভিনব যুবক সাহে জাতে’র নিমিত্ত রচিত পাঠ্য পুস্তকের লেখক, এই ধারণাই প্রচলিত থাকাতে সে যুগের প্রধান ব্যক্তিরা তাহ'র রচনার সঠিত পরিচিত হন নাই । তাহদের প্রশংসাপত্ৰ ব্যতিরেকে সে যুগে কিছুই চলিত না, সুতরাং মৃত্যুঞ্জয়ও সাধারণভাবে চলেম নাই । এত দিনেও যে এই ভুল ভাঙিবার সুযোগ উপস্থিত হুইয়াছে, ইহাও মন্দের ভাল । প্রারম্ভে সাধারণভাবে একটি সংবাদ দেওয়া আবশ্যক বোধ করিতেছি – মৃত্যুঞ্জয় আজিকার দিনে যত অজ্ঞাতই হউম, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম পদার্দ্ধে তাহার তুল্য সম্মাননীয় পণ্ডিত দ্বিতীয় ছিলেন ন। এবং তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম অব্যবহৃত অপ্রচলিত এবং সদ্য-গড়িয়াতোলা বাংলা-গদ্যের একটা সচল মহনীয় রূপ প্রেত্যক্ষ করিয়াছিলেন । যে ভাষা ও সাহিত্য লষ্টয়া আজ আমরা বিশ্বসংসারে গৌরব বোধ করিতেছি, সেমিন সেই অপোগও ভাষার ভবিষ্যৎ বিচিত্র বিকাশের সম্ভাবনার চিত্র তাহার মানস নেত্রেই প্রতিভাত হইয়াছিল ; মৃত্যুঞ্জয়ের রচনার মধ্যে বাংলাগদ্যের সেই মৃত্যুঞ্জয়-ইতিহাসেরই সূত্রপাত হুইয়াছে । ১৮১৫ খ্ৰীষ্টাব্দে রামমোহন রায়ের ‘বেদান্ত গ্রন্থ প্রকাশিত হয় । ভৎপূৰ্ব্বে নাহারা বাংলা-গদ্যে গ্রন্থ রচনা করিয়া প্রকাশ করিয়াছিলেন, র্তাহাদের নাম যথাক্রমে--রামরাম বসু, উইলিয়ম কেরী, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, গোলোকনাথ শৰ্ম্ম, তারিণীচরণ মিত্র, রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়, চণ্ডীচরণ মুন্সী, রামকিশোর