পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিকা * তর্কচূড়ামণি ও হরপ্রসাদ রায় । পাণ্ডিত্য ও ভাষার গুণ বিচার না করিয়াও শুধু রচিত-পুস্তকের সংখ্যাধিক্যেষ্ট মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার এই দলের প্রধান । গোলোক শৰ্ম্ম, তারিণীচরণ, রাজীবলোচন, চণ্ডীচরণ, রামকিশোর ও হরপ্রসাদ প্রত্যেকেই একখানি করিয়া, এবং কেরী ও রামরাম প্রত্যেকেই তুইখানি করিয়া সাহিত্যবিষয়ক গল্পগ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন একা মৃত্যুঞ্জয়ই ১৮১৩ খ্ৰীষ্টাব্যের মধ্যে চারিখানি গ্রন্থ—বত্রিশ সিংহাসন, ‘হিতোপদেশ’, ‘রাঞ্জাবলি’ ও ‘প্ৰবোধ চন্দ্রিক রচনা করেন, তন্মধ্যে প্রথম ভিনখানি তাহার জীবিতকালে মুঞ্জিত ও প্রকাশিত হয় । এখানে আরও একটি কথা বলা আবশ্যক । অনেকের এই ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, মৃত্যুঞ্জয়ের রচিত গ্রন্থগুলির তেমন প্রেচার ছিল না । আসলে কিন্তু আমর। দেখিতে পাই যে, উনবিংশ শতালীর সপ্তম দশক পর্য্যস্ত তাহার প্রবোধ । চন্দ্রিক বাংলা দেশে বহুল প্রচারিত ছিল । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও সে যুগে ঐ পুস্তকের বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করিয়া গ্রন্থকারকে সম্মানিত করিয়াছিলেন । শুধু রচিত , পুস্তকের সংখ্যাধিকfহ নয়, পণ্ডিত্য ও ভাষাজ্ঞানের দিক দিয়া বিচার করিতে গেলেও মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাধান্ত সম্বন্ধে কোনও সন্দেহ থাকে, না ; উক্ত লেখক-সম্প্রদায়মধ্যে একমাত্র তাহারই ভাষাজ্ঞান ও সাহিত্যবৃদ্ধি এত অধিক পরিমাণে ছিল যে, লিখিতে বসিয়াই তিনি লেখার একটা স্টাইল খাড়া করিতে পারিয়াছেন ; সাধু ও চল্‌ভি—এই দুই ভিন্ন রীতির