পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སྣ་ལཱ་ দত্তের তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যের পূৰ্ব্বে দুই এক জন বাঙালী কবি ইংরেজী কাব্যের প্রভাবে পড়িয়া সম্পূর্ণ নূতন পদ্ধতিতে কাব্যরচনাল সূত্রপাত করিয়া থাকিলেও আমরা যেমন আজও পর্য্যস্ত তাহাকেই আধুনিক পদ্ধতিতে সৰ্ব্বপ্রথম কবি হিসাবে সম্মান করিয়া থাকি, রামনারায়ণ তর্করত্ন বা নাটুকে রামনারায়ণকেও তেমনই দুই চারি জন পূৰ্ব্বগামী নাট্যকারেব নাট্যপ্রচেষ্টা সবেও সৰ্ব্বপ্রথম আধুনিক নাট্যশিল্পীপ সম্মান দিয়া থাকি । ইহার কারণ এই যে, মাইকেলের মত তিনিও অসাধারণ শিল্পপ্রতিভাবলে প্রাণহীন গতানুগতিকতার মধ্যে প্রাণসঞ্চার করিতে পারিয়ছিলেন , উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইউরোপীয় বঙ্গমঞ্চের অল্পকরণে বাংলাদেশে যে রঙ্গমঞ্চের উদ্ভব হইয়াছিল, তাহারই কবিকীৰ্ত্তির দ্বারা তাহ সৰ্ব্বপ্রথম সার্থকতা করে । ইহা এক হিসাবে অধিকতর বিস্ময়কর এই কারণে যে, ধর্থ-ভাষাবিং মধুসূদন ইউরোপীয় জ্ঞানসমূদ্র মন্থন করিয়াছিলেন বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ; কিন্তু পত্তিত রামনারায়ণ তর্কবত্ব ীির্ঘকাল কলিকাতা গবর্ণমেন্ট সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃত ব্যাকরণ সলঙ্কারের এক জন অধ্যাপক ছিলেন, ইউরোপীয় বা আধুনিক পদ্ধতির সহিত তাহার প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল না। সংস্কৃত কাব্য ও অলঙ্কারে তঁহ্যি"অসাধারণ অধিকার ছিল, তিনি অধ্যাপক হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন–ঙ্গহার এই সকল পরিচয় আজিকার দিনে প্রত্নতত্ত্বের বিষয়ীভূত হইয়াছে ; কিন্তু বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ নাট্যকার হিসাবে তিনি আজিও সগৌরবে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে বিরাজ করিতেছেন । তাহার জীবনী ও কীর্তির পুনরালোচনা সহায় বাঙালী পাঠকের নিকট অনাবশ্বক বিবেচিত না হইতেও পারে ।