পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to রামনারায়ণ তর্করত্ন । বাঙ্গাল শিক্ষা অতি সুচারুরূপে নিৰ্বাহ হইতেছে, ইনি অতি স্থপত্তিত, ও সংস্কৃত কলেজের একজন বৃত্তিধারি ছাত্র ছিলেন । বঙ্গভাষী লেথন পঠনেও বিশেষ পারম্বশী, পতিত্ৰতোপাখ্যান নামক পুস্তক লিখিয়া ব্রংপুরের কুণ্ডি পরগণাসু বিখ্যাত ভূম্যধিকারী শ্ৰীযুক্ত কাঙ্গীচশ্র রায় চৌধুরী মহাশয়ের প্রদত্ত প্রাষ্টজ গ্রহণ করিয়াছেন, অতএব এতাদৃশ সুযোগ্য মহাশয়ের সংষোগ দ্বারা অভিনব কলেজ বিদ্যালোকে পরিদীপ্ত হইবেক ত{হার সন্দেহ নাই।--‘সংবাদ প্রভাকর, ২ ৬ সেপ্টেম্বর ১৮৫৩ । ২২ অক্টোবর ১৮৫৩ তারিপে রামনারায়ণ হিন্দু মেট্রোপলিটন কলেজের ছাত্রদিগের উপদেশর্থ বিদ্যা-লিষয়ক প্রকাশ্য বক্তৃত। করেন । এই বক্তৃতায় তিনি মাতৃভাষা শিক্ষণর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে যাহা বলিয়াছিলেন, আজিকার দিনেও তাহার মূলা আছে । তিনি বলেন – তোমরা যেমন মনোযোগ পূর্বক ইংরাজী শিখিবে বাঙ্গলও সেইরূপ শিক্ষা করিবে, বাঙ্গলার প্রতি কদাচ অনাস্থ কবিবে না ; বাঙ্গল| এতদ্দেশীয় মাতৃভাষা, সুতরাং মাতৃবং এই মাতৃভাষার প্রতি ভক্তি রাখা নিতান্ত আবখ্যক । দেখ বর্তমান কালে যে সকল প্রদেশ দৃষ্টি ও শ্রুতি গোচর হইতেছে সে সমস্ত দেশীয় লোকের সকলি স্ব স্ব দেশীয় ভাষাকে উত্তম ভাষা জ্ঞামে মান্য করিয়া থাকেন এবং সাধারণের এই এক প্রসিদ্ধ প্রথা আছে যে অপম২ দেশীয় ভাষা সম্পূর্ণরূপে শিক্ষা মা হইলে কেহই অন্য ভাষা প্রতি ধাবমান হয়েন না অতএব তোমাদিগের দেশভাষার প্রতি বিমুখ হওয়া কদাচ উচিত মহে। রামনারায়ণ দুই বৎসর যোগ্যতার সহিত হিন্দু মেট্রোপলিটন কলেজে প্রধান পণ্ডিতের পদের কার্ষ করিবার পর গবর্ণমেণ্ট সংস্কৃত কলেজে যোগদান করেন । ।