পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ళe রামমোহন द्राभं হুইলেন না । এমন কি, ডিগবীর পীড়াপীড়ির উত্তরে তাহাকে লিখিলেন, "ভবিষ্যতে ডিগবী যদি বোর্ডের প্রতি এইরূপ অসম্মানসূচক ব্যবহার করেন, তাহ হইলে তাহারা উহার সমুচিত উত্তর দিতে বাধ্য হইবেন ।" ১৮১১ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসে অন্য লোক রংপুরের দেওয়ান নিযুক্ত হইল । রামমোহনকে স্থায়ী ভাবে দেওয়ানের পদে নিযুক্ত করিতে বোর্ডের এইরূপ প্রবল আপত্তি হইবার কাবণ কি, সে-সম্বন্ধে অনেকেরই কৌতুহল , হইতে পারে । এই বিষয়ে বোড ডিগবীকে ধে চিঠি লেখেন, তাহাতে রামমোহমের নিয়োগের বিরুদ্ধে দুইটি যুক্তি দেওয়া হয় । প্রথম যুক্তি এই যে, দেওয়ামের কাজ করিতে হইলে খাজনা আদায়ের সূক্ষ্ম অভিজ্ঞত{ এবং নিয়মাবলীর জ্ঞান থাকা প্রযোজন ; রামমোহন ফৌজদারী আদালতের অস্থায়ী সেরেস্তাদারের কাধ্যে এই জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা অর্জন করিতে পারেন নাই । দ্বিতীয় আপত্তি র্তাহার জামিন সম্বন্ধে । রামমোহন রংপুরের দুই জন জমিদারকে তাহার জামিন হইতে স্বীকার করাইয়াছিলেন। বোর্ড বলেন, কোন দেওয়ানের জামিন যে-জেলায় তিনি কাজ করিতেছেন, সেই জেলার জমিদার হওয়া বাঞ্চনীয় नध्याः । এই ত গেল প্রকাশু আপত্তির কথা । ইহা ছাড়া, বোর্ড-অবরেভিনিউয়ের কাগজপত্রের মধ্যে এ-বিষয়ে উহার প্রেসিডেন্ট বুরিশ ক্রীম্প সাহেবের স্বহস্তলিখিত একটি মন্তব্য আমি দেখিয়াছি। উহাতে রামমোহনের দিয়োগ সম্বন্ধে উল্লিখিত আপত্তি দুইটি ছাড়া আর একটি আপঞ্জি:উল্লেখ আছে, এবং সেই আপত্তিই প্রকৃত আপত্তি বলা চলে । ఇజ్జె পর বুরিশ ক্রীম্প লিখিতেছেন, “রামগড়ে সেরেস্তাদার দীন তাহার কার্ধ্যকলাপ সম্বন্ধে অপ্রশংসাসূচক কথ।