পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tడిé রামমোহন রায় নিকট হইতে কেন । এই সময়ই সম্ভবতঃ জোড়াসাকোঁতে তঁাহার যে বাড়ীটি ছিল, উহা বিক্রয় করিয়া ফেলা হয় । বিষয়-সম্পত্তির স্থব্যবস্থা করিবার কালে রামমোহন গ্রামে নূতন বাড়ী করিবার কথাও ভোলেন নাই । লাঙ্গুলপাড়ার বাড়ীর প্রতি আর তাহার কোন আকর্ষণ ছিল না ; এই বাড়ীতে র্তাহার নিজের অংশ তিনি ভাগিনেয় গুরুদাস মুখোপাধ্যায়কে দান করেন (নবেম্বর-ডিসেম্বর ১৮১৪ ) । এই সমবে কিংবা কিছু পূৰ্ব্বে মাতা তারিণী দেবীর সহিত আবার তাহাব মতা স্তর বা মনাস্তর উপস্থিত হয়, তাহার কিছু কিছু আভাস আমরা পাই । এই কারণেই হউক কিংব। অন্ত কারণেই হউক, তিনি লাঙ্গুলপাড়া ত্যাণ করিয়া নিকটবৰ্ত্ত রঘুনাথপুরে একটি নূতন বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করাইতে আবু স্ত্র করেন । বাড়ী সম্পূর্ণ হইবার পূৰ্ব্বেই ১৮ ১৭ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৮এ জাগুয়ারি (১৭ মাঘ ১২২৩) রামমোহনের পবিবার লাঙ্গুলপাড়ার বাডা ত্যাগ কপ্লিমা রঘুনাথপুরের মৃতন বাড়ীতে চলিয়া তাসেন ! 4. কলিকাতা আসিবার অল্প দিনের মধ্যেই রামমোহন সেখানকার এক জন গণ্যমান্য ব্যক্তি বলিয়া পধিগণিত হইলেন । তাহার তখন অর্থের অভাব ছিল না, সুতরাং কলিকাতায় তিনি ঐশ্বৰ্য্যশালী ব্যক্তির মতই থাকিতেন, দশ জনের কাছেও প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির মতই মান্য হইতেন । তাহীর মাণিকতলার বাড়ীতে শহরের বহু সম্লান্ত লোকের সমাগম হইত। উহাদের মধ্যে দেশী লোক ভিন্ন বহু বিদেশী ব্যক্তিও থাকিত । বিদেশ হইতে র্যাহারা ভারত-ভ্রমণে আসিতেন, তাহাদের মধ্যে প্রায় সকলেই রামমোহনের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আলিতেন । এইরূপ পরিব্রাঞ্জকদের মধ্যে ফিট্স্ক্লারেন্স ( আল অব মানস্টার ), ফরাসী বৈজ্ঞানিক ভিক্তর জাকর্ম ও ইংরেজ মহিলা ক্যানী