পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭৭৮

द्रांश्रद्दधांश्नव्र कौडैि . من যে, তিনি দিনে বাৱে সের দুধ খাইতেন, একাই একটি পাঠা খাইলা । ফেলিতে পারিতেন এবং পরিমিত ভাবে কুরাপানও করিতেন। ইহা সত্য হউক আর না-ই হউক, এইরূপ গল্প যে তাহার শারীরিক শক্তির পরিচায়ক, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । রামমোহন অতিশয় তেজী ছিলেন বলিয়। সকলেই স্বীকাধ করিয়ছেন। তিনি চাকুরী করিবার সময়ে সার ফ্রেড়ারিক হামিন্টনের অভদ্রতার বিরুদ্ধে মে-আপত্তি করিয়াছিলেন, তাহাতেই তাহার আত্মসম্মানঞ্জন ও সাহসের পরিচয় পাওয়া যায়। তেমনই তিনি আবার চরিত্রমাধুৰ্য্যেরও যথেষ্ট পরিচয় দিয়াছেন । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাল্যকালে রামমোহনকে অনেক বায় দেখিয়াছিলেন, তিনি তাহার বাড়ীতে প্রায়ই ধাইতেন । তিনি বলিয়া গিয়াছেন যে, রামমোহনের মত সুমিষ্ট মেজাজের লোক তিনি আর দেখেন নাই । এই ভদ্রতা, বিনয় ও তেজস্বিতfর একত্র সম্মিলন রামমোহনের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল । পাশ্চাত্য জ্ঞান, রীতিনীতি ও চিন্তাধারার সহিত ভারতীয় জ্ঞান, রীতিনীতি ও চিন্তাধারার সমন্বয়ের পথ নির্দেশ রামমোহনের প্রধান কীৰ্ত্তি । তিনি চিস্থায় ও কৰ্ম্মে সাৰ্ব্বভৌমিক ছিলেন, জাতীয় সঙ্কীর্ণত পছন্দ করিতেন না। তবুও তিনি ঞ্জাতীয় ধৰ্ম্ম ও আচার বর্জন করিবার বিপক্ষে ছিলেন । তিনি মনে করিডেম, এক জাতির আচার-ব্যবহার অন্য জাতির মধ্যে জোর করিয়া প্রবর্তন করা সম্ভব মহে, উচিতওঁ মহে ; স্থতরাং সংস্কারের প্রয়োজন হইলে ৪ প্রত্যেক জাতিরই উহ। জাতীয়ভাবে করা উচিত। সেজন্য একেশ্বরবাদও তিনি উপনিষদ ও বেদান্তের সাহায্যেই প্রচার করিবার চেষ্টা পাইয়াছিলেন। বিদেশী শাস্কের খাৱ । অস্থপ্রাণিত হইলেও উহাদিগকে সৰ্ব্বতোভাবে গ্রহণ করেন নাই । স্বামমোহনের পর যে-সকল মহাপুরুষ ভারতবর্ষের সামাজিক জীৱনে